জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রায় ২০ দিন পর আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুললেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আরজি কর-কাণ্ডে একদিকে যখন সারা রাজ্য উত্তাল, প্রতিবাদে সোচ্চার সব মহল, আন্দোলন চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে, বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে রাজ্যের মানুষ, এমনকী রাষ্ট্রপতিকে চিঠিও পাঠিয়েছে আম জনতা। তখনই কলকাতার তরুণী ডাক্তারের এই মর্মান্তিক ঘটনায় ভীত-স্বন্ত্রস্ত রাষ্ট্রপতি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Bombay High Court: যুগান্তকারী রায় হাইকোর্টে! ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে ২৬ সপ্তাহেও গর্ভপাতের অনুমতি


এদিন নারীদের সঙ্গে হওয়া অপরাধের বিরুদ্ধে রেড-ফ্ল্যাগ জারি করেন তিনি। পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাত্‍কারে দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, "কোনও সভ্য সমাজে কন্যা ও বোনেরা এই ধরনের নৃশংসতার শিকার হতে দিতে পারে না... যথেষ্ট হয়েছে।" এমনকী মানুষের যৌথ স্মৃতিভ্রংশের সমালোচনাও করেন তিনি। যা নারীদের প্রতি নির্যাতন ও হয়রানিকে প্রচ্ছন্ন মদত দেয়। রাষ্ট্রপতির কথায়, নির্ভয়া কাণ্ডের পর ১২ বছরে প্রায় অগণিত ধর্ষণের ঘটনা অবহেলার চোখে দেখেছে। এই যৌথ স্মৃতিবিভ্রান্তি জঘন্য। 


তিনি বলেন, ''শুধুমাত্র ইতিহাসের মুখোমুখি হতে ভীত সমাজই যৌথ স্মৃতিভ্রংশকে অবলম্বন করে। দেশকে অবশ্যই ইতিহাসের মুখোমুখি হতে হবে। আমাদের এই বিকৃতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে মোকাবিলা করতে হবে... মূলেই ধ্বংস করে ফেলতে হবে।" কেবল আরজি কর নয়, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রে নার্সদের ধর্ষণ-সহ মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংস অপরাধের অন্যান্য সাম্প্রতিক ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলি নিয়েও কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।


মলায়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতা ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগগুলিরও সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ছাত্র, ডাক্তার এবং সাধারণ মানুষ কলকাতায় ঘটে যাওয়া ঘৃণ্য অপরাধের প্রতিবাদ করলেও, অপরাধীরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদিন রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের বিরুদ্ধে কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'RGKor নিয়ে রাষ্ট্রপতির কথা শুনলাম। তাঁকে সম্মান করি। উন্নাও, হাথরাস, বিলকিস, মণিপুরের সময় বুক কেঁপে ওঠেনি মাননীয়া? ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখন্ড দেখতে পেলেন না? সাক্ষী মালিকদের মত সোনার মেয়েদের প্রতিবাদের সময় আপনি চুপ করেছিলেন কেন? বিজেপির বিরুদ্ধে বলতে কষ্ট হয়?'


প্রসঙ্গত, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুসারে, আরজি করে ধর্ষিত ও মৃত তরুণীর গোটা শরীরে আঘাত, মিলেছে ধস্তাধস্তির প্রমাণ। কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রেনি ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। এমনকী তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শুধু শারীরিক আঘাতই নয় ভয়ংকর যৌন নির্যাতন এবং ফোর্সফুল পেনিট্রেশনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। নির্যাতিতার মাথা, মুখ, ঘাড়, হাত এবং যৌনাঙ্গে ১৪ টিরও বেশি গভীর ক্ষতের চিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 



আরও পড়ুন, Bangladesh: ইটের বদলে পাটকেল! ভারতবিরোধী পোস্টে লাভ ইমোজি, বাংলাদেশি ছাত্রীকে বিদায় করল NIT শিলচর...


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)