নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার বিধানসভায় এবং বুধবার রাজ্যসভায় ভোটাভুটিতে CAB (Citizenship Amendment Bill) বিল পাস করায় মোদী-শাহ জুটি। এরপর থেকেই বিলের বিরোধীতায় এসেছে একের পর এক প্রতিক্রিয়া। তবে এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯-এ সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind), ফলে আইনে পরিণত হল বিলটি। বৃহস্পতিবারই মধ্যরাতে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি। এদিনই রাষ্ট্রীয় গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে আইনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


২০১৬-র ১৯ জুলাই, লোকসভায় ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের, ৬ষ্ঠ সংশোধনী বিল পেশ করে মোদী সরকার। সংসদীয় কমিটি ঘুরে, এই বছর জানুয়ারি মাসে লোকসভায় বিলটি পাস হয়। কিন্তু, সংখ্যার জোর না থাকায় ১ম ইনিংসে রাজ্যসভায় বিলটি আর পেশ করেনি মোদী সরকার। ২য় ইনিংসের গোড়াতেই ফের সংসদে হাজির করা হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। ৪ঠা ডিসেম্বর তাতে অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এরপর তুমুল বিতর্কের মধ্যেই প্রথমে লোকসভা এবং তারপর রাজ্যসভাতেও পাশ বিলটি পাশ করাতে সক্ষম হয় কেন্দ্র। 


বিল পেশের পরেই হট্টগোল শুরু হয় দেশ জুড়ে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দেশের মুসলিমদের ভয়ের কোনও কারণ নেই, বলে অমিত শাহ আশ্বাস দিলেও 'দেশকে পিছিয়ে দেবে এই বিল', তোপ দাগেন অধীর চৌধুরী। বিলের বিরুদ্ধে চলে যায় শিবসেনা। সরকারের পাশে থাকে AIADMK। ‘সাহসী পদক্ষেপ’আখ্যা দিয়ে মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় আরএসএস। এদিকে আলোচনার মাঝে বিলের কপি ছিঁড়ে বিতর্কে সামিল হয় ওয়াইসি। 


আরও পড়ুন: CAB নিয়ে দলবিরোধী মন্তব্য করায় প্রশান্ত কিশোর-সহ ২ নেতাকে শো-কজ করল JDU


আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের আগে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত হবেন না। তাঁদের শরণার্থী হিসাবে দেখা হবে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্সি ও শিখরা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।