ওয়েব ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লার ভাষণে সরকারের রিপোর্ট কার্ড পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী। গত দু-বছরে উন্নয়নের খতিয়ান দিয়ে বিঁধলেন কংগ্রেসকে। তবে একই দিনে মোদী সরকারের দিকে ধেয়ে এল প্রধান বিচারপতির তোপ। উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ থমকে থাকায় প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করলেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৯৩ মিনিটের দীর্ঘ ভাষণ। তাতে নিজের সরকারের সাফল্যের ফিরিস্তি। আর আগের সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ। লাল কেল্লার ভাষণে আগাগোড়া প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় কংগ্রেস। কার্যত সরকারের রিপোর্ট কার্ড পেশ করে মোদী বললেন, স্বচ্ছতাই তার প্রশাসনের মূল মন্ত্র। বললেন, স্বরাজের পর গরিব মানুষের উন্নয়নে সুরাজ প্রতিষ্ঠাই তার লক্ষ্য। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী বোঝাতে চাইছেন, গত দু-বছরেই যা কাজ হওয়ার হয়েছে। তার আগে কিছুই হয়নি। সত্তরতম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে অভিযোগ তাদের।


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিচারবিভাগীয় নিয়োগ কমিশন বাতিল হওয়ার পর থমকে রয়েছে বিচারপতি নিয়োগ। পুরনো কলেজিয়াম ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে সরকারের সঙ্গে শীর্ষ আদালতের সংঘাত থামছে না। উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে লাল কেল্লার ভাষণে কেন নীরব প্রধানমন্ত্রী? প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি।


প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের পর সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ ছাড়েনি কংগ্রেস। কাশ্মীরের অশান্তি নিয়ে এদিন মুখ খোলেননি মোদী। তবে জাতপাতের বিরুদ্ধে সরব হয়ে দলিত সম্প্রদায়কে বার্তা দিয়েছেন তিনি। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পেনশনে কুড়ি শতাংশ বৃদ্ধি এবং BPL পরিবারে এক লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিত্‍‍সার খরচ সরকার বহন করবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।