নিজস্ব প্রতিবেদন : মততা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতার মধ্যেই 'টিম ইন্ডিয়া'-র স্লোগান তুলে দেশকে একজোট করার চেষ্টা চালালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে নীতি আয়োগের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ''আমরা একজোট হয়ে দেশের সমস্যা সমাধানে অঙ্গিকারবদ্ধ। টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করতে হবে।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যসরকারগুলির ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, স্বচ্ছ ভারত মিশন থেকে ডিজিটাল লেনদেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারগুলি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।


২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই বর্তমান মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ নীতি আয়োগের বৈঠক। এদিনের বৈঠকে, ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা এবং নতুন ভারত গঠন নিয়ে কথা হবে। আয়ুষ্মান ভারত, মিশন ইন্দ্রধনুষ, জাতীয় পুষ্টি মিশন, অনগ্রসর জেলার উন্নয়ন নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মতামত শুনবে কেন্দ্র। সেখানেই কৃষকদের বর্তমান দুরবস্থায় কীভাবে তাঁদের আয় দ্বিগুণ করা যাবে, এই বৈঠকে সেই প্রশ্নও তুলতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন- রবিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হবেন মমতা


এদিকে, বৈঠকে ফের একবার দিল্লির অচলাবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে কেন্দ্রের ভূমিকারও সমালোচনা করেন তিনি। দিল্লিতে আইএএস অফিসারদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবিতে টানা ৬ দিন ধরে উপ-রাজ্যপালের বাড়িতে ধরনা দিচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়া। শনিবার দিল্লি পৌঁছে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ চার রাজ্যের মু্খ্যমন্ত্রী। তবে সেই অনুমতি দেননি উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল। অগত্যা কেজরিওয়ালের বাড়িতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এইচডি কুমারস্বামী, পিনরাই বিজয়ন ও চন্দ্রবাবু নাইডু। এদিন ফের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিল্লির ঘটনা নিয়ে যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার রাজনীতি করছে, তা গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।


প্রসঙ্গত, দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে এবারই প্রথম যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মোদী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। রাজ্যের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে কথাও হয় তাঁর।