নিজস্ব প্রতিবেদন : কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার লক্ষ্যে দু'দিনের নেপাল সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে সেদেশে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচিতে ধর্মস্থানের আধিক্য দেখে কটাক্ষ শুরু করেছেন অনেকে। নিন্দুকরা বলছেন, যেন তীর্থযাত্রায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার সকালে মুক্তিনাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর বেলায় কাঠমান্ডুর পশুপতিনাথ মন্দিরে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে রীতি মেনে পুজোও দেন তিনি।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দু'দিনের নেপাল সফরের শুরুতে শুক্রবার মোদী যান জনকপুর মন্দিরে। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সেখানেই প্রস্তাবিত অরুণ-৩ প্রকল্পের জন্য দু'দেশের মধ্যে মউ স্বাক্ষরিত হয়। ৬ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের লক্ষমাত্রা রাখা হয়েছে। এরফলে নেপাল ও ভারত একযোগে উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।


এছাড়াও, সেখান থেকেই দুই দেশ যৌথভাবে রামায়ন সার্কিটের ঘোষণা করে। এর মাধ্যমে অযোধ্যা, নান্দিগ্রাম, চিত্রকূটের মতো স্থানকে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করবে দুই দেশ। শনিবার সকালে কাঠমান্ডুতে একগুচ্ছ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদী। বিকেলে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নরেন্দ্র বাহাদুর পানের সঙ্গে সাক্ষাত করে নয়া দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি।


 



বেজিংয়ের সঙ্গে নেপালের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক গভীর হওয়ায় ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাই এবার নেপালের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে বিশেষভাবে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। এই নিয়ে ৪ বছরে তৃতীয়বারের জন্য নেপাল সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেপালে নতুন সরকার গঠনের পর এবারের মোদী সফর তাই যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।


 



এদিকে, নেপাল সফরের মাধ্যেই কর্ণাটক নির্বাচন নিয়ে খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। টুইট করে কর্ণাটকবাসীদের সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে  অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে তরুণ ভোটাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে উত্সাহিত করেছেন মোদী।