নিজস্ব প্রতিবেদন : ''নির্বাচনে জিততে হলে হিমাচল প্রদেশ থেকে অবিলম্বে পাঁচটি সমস্যা দূর করতে হবে।'' রবিবার একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, "পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা এই রাজ্যকে অবিলম্বে খনি মফিয়া, জঙ্গল মাফিয়া, ড্রাগ মাফিয়া, টেন্ডার মাফিয়া ও ট্রান্সফার মাফিয়ামুক্ত করতে হবে। তবেই হিমাচল প্রদেশকে দুর্নীতিমুক্ত রাজ্য তৈরি করা সম্ভব।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগামী ৯ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় নির্বাচন। ৬৮ আসনের এই বিধানসভায় ২০১২ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে। গত ৫ বছরে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং সহ একধিক বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই দুর্নীতির অস্ত্রকেই হাতিয়ার করে বিজেপি সেখানে পদ্ম ফোটাতে চাইছে। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে মোদী সরকারের নোট বাতিল-সহ একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে ফের ক্ষমতায় আসতে কোমড় বেঁধেছে কংগ্রেস।


রাজ্যের শাসন ক্ষমতা দখল করাই আপাতত হিমাচলে বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। অন্যদিকে সারা দেশের সঙ্গে সঙ্গে এ রাজ্যেও মোদী সরকারের নোটবাতিলের বর্ষপূর্তিতে আগমী ৮ নভেম্বর প্রতিবাদ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন, সবই থাকছে সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে।


আরও পড়ুন- নোটবাতিলের দায়িত্ব ছিল ইন্দিরারই: নরেন্দ্র মোদী


বিরোধীদের এহেন পদক্ষেপকে কটাক্ষ করে রবিবারের জনসভায় মোদী বলেন, এই ধরনের কর্মসূচী তাঁকে কোনও ভাবেই প্রভাবিত করে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই একইরকম ভাবে জারি থাকবে। তিনি আরও বলেন, ''৮ নভেম্বর বিরোধীরা অনেক কিছুই করবেন বলে ভেবে নিয়েছেন। এমনকি ওই দিন ফের নতুন কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কেন্দ্র বলেও তারা মনে করছেন। এতকিছু  ভেবে আমার কুশপুতুলও পোড়াবেন তাঁরা। তবে এসবে আমি ভয় পাই না। আমার সিদ্ধান্তে আমি অনড় থাকবই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবই। প্রয়োজনে আবারও এমন সিদ্ধান্ত নেব।''


এখানেই না থেমে, কংগ্রেসের 'আইকনিক চরিত্র' তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বিধেঁছেন দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। নোট বাতিল প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, ''প্রধানমন্ত্রিত্বে থাকাকালীন ইন্দিরা গান্ধী যদি সেদিন নোট বাতিলের কাজটা করতেন, তাহলে আমাকে এতবড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হত না।''  


উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাতারাতি দেশজুড়ে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেন মোদী। মূলত, কালোটাকা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে সেদিন জানিয়েছিলেন মোদী। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল সেদিনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায়। এরপর ধীরে ধীরে কেটেছে সময়। স্তিমিত হয়েছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। সেদিনের সেই তোলপাড় ফেলা মুহূর্তের বর্ষপূর্তি হতে বাকি আর মাত্র ১ দিন। তার আগে একাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল। ওই দিনটিকে কালা দিবস হিসাবে পালন করার আহ্বান জানিয়ে টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।