নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজেকে দাবি করেন শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জ়াফরের বংশধর। প্রতিপত্তি, সমাজে মান-মর্যাদা আর সেভাবে না থাকলেও সাধ্যমতো সেই ঐতিহ্য বহন করে চলেছেন হায়দরাবাদের কাঞ্জনবাগের বাসিন্দা হাবিবউদ্দিন টুসি। অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির জন্য সোনার ইট দেবেন বলে দাবি করেন হাবিবউদ্দিন। মুসলিম সম্প্রদায়ের হলেও তিনি বিশ্বাস করেন, ওই জায়গায় মন্দিরে ভেঙে বাবরি মসজিদ হয়েছে এমন দাবিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রাম মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন করেন ৫০ বছর বয়সী হাবিবউদ্দিন। শীর্ষ আদালতের কাছে তাঁর দাবি, ওই জায়গার প্রকৃত দাবিদার তিনি। ওই জায়গা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হলে, রাম মন্দির তৈরির জন্য সব ব্যবস্থা করবেন। উল্লেখ্য, তাঁর এই আবেদন শুনানির জন্য গৃহীত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। হাবিবউদ্দিন আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির দাবিদার কেউ নেই। মোগল বংশধরদের উত্তরসূরি হওয়ায় ওই জায়গার প্রকৃত দাবিদার তিনিই। অযোধ্যায় তিন বার ঘুরে এসেছেন। রাম মন্দির ধ্বংস করে দেওয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমাও চান হাবিবউদ্দিন। উল্লেখ্য, ১৫২৯ সালে বাবরি মসজিদ তৈরি করেন মোগল সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবর। আর ওই মসজিদ ধ্বংস করে দেওয়া হয় ১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর।


আরও পড়ুন- হড়পা বানে বিধ্বস্থ উত্তরকাশীর ৩ গ্রাম, কাদামাটি চাপা পড়ে মৃত কমপক্ষে ১৭


সত্যিই কি হাবিবউদ্দিন মোগলদের উত্তরসূরি? নামের আগে ‘প্রিন্স’ ব্যবহার করেন তিনি। যা নিয়ে বেশ কিছু জায়গায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁকে। পাসপোর্ট বানানোর সময়  নামের আগে ‘প্রিন্স’ বসানো যাবে না বলা হয়। তিনি দাবি করেন, জন্ম ও বিয়ের প্রমাণপত্র-সহ সব নথিতেই ‘প্রিন্স’ রয়েছে। হাবিবউদ্দিনের দাবি, উজ়বেকিস্তান তাঁকে মোগলের উত্তরসূরী বলে মান্যতা দিয়েছে। এমনকি ডিএনএ পরীক্ষা করেও প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি তাঁর। যদিও হাবিবউদ্দিন সাধারণ জীবনযাপন কাটিয়ে থাকেন। রাজকীয় বেশভূষায় তাঁকে বেশি দেখা গেলেও জিনস-শার্ট পরে বাইক চালাতেও ভাল লাগে হায়দরাবাদের ‘প্রিন্সের’।