Viral Video: ক্লাস বন্ধ রেখে স্কুলেই ফেসিয়াল করাচ্ছেন প্রিন্সিপাল, হাতেনাতে ধরতেই রক্তাক্ত কাণ্ড...
Uttar Pradesh: উন্নাও জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সঙ্গীতা সিং ক্লাস বন্ধ রেখে ফেসিয়াল করাচ্ছিলেন। যখন তাঁর পড়ানোর কথা, সেই সময় নিজের পরিচর্যায় ব্যস্ত শিক্ষিকা। এই সময়েই তাঁকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন আরেক শিক্ষিকা, এরপরেই ভয়ংকর কাণ্ড ঘটালেন ওই প্রধান শিক্ষিকা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার সকালে, উত্তরপ্রদেশের(Uttar Pradesh) একটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলে পৌঁছে দেখে তাদের ক্লাস হচ্ছে না। কারণ কী? কারণ ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে গিয়ে তাদের অধ্যক্ষ ব্যস্ত ফেসিয়াল করতে। কিন্তু এরপরেই এক বড়সড় জীবনের শিক্ষা পেল তারা। কারণ এরপর যে ঘটনাগুলি ঘটল তা কল্পকাহিনীর চেয়ে সত্যি।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, উন্নাও জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সঙ্গীতা সিং ক্লাস বন্ধ রেখে ফেসিয়াল করাচ্ছিলেন। যখন তাঁর পড়ানোর কথা, সেই সময় নিজের পরিচর্যায় ব্যস্ত শিক্ষিকা। বিঘাপুর ব্লকের দণ্ডামাউ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার রান্না করা হয় সেই জায়গাকেই বিউটি পার্লার বানিয়ে ফেলেছেন প্রিন্সিপাল।
যখন প্রধান শিক্ষিকা ফেসিয়াল করতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই তাঁকে হাতেনাতে ধরেন অ্যাসিস্টান্ট টিচার আনম খান। যখন তিনি প্রধান শিক্ষিকাকে হাতেনাতে ধরেন তখন একটি ভিডিয়ো শ্যুট করেন ওই শিক্ষিকা। ভিডিয়োতে দেখা যায় মিসেস খান রান্নার জায়গায় হেঁটে যান ও তাঁকে দেখে হতবাক মিসেস সিং তাড়াহুড়ো করে চেয়ার থেকে উঠে আসতে দেখা যায় এবং মিসেস খানকে "খুব ভালো" বলতে শোনা যায়।
এরপরেই শিক্ষিকা আনম খানকে ধাওয়া করেন প্রধান শিক্ষিকা। তাঁকে ফেলে মারে ওই প্রিন্সিপাল। কামড়ে দেয় হাতে আর রক্ত বের না হওয়া অবধি ওই শিক্ষিকাকে কামড়াতে থাকে প্রধান শিক্ষিকা সঙ্গীতা সিং। এরপরেই পুলিসের দ্বারস্থ হন শিক্ষিকা আনম খান। উন্নাও জেলার সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সঙ্গীতা সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
আরও পড়ুন-Pori Moni: মেটাননি ৮৭ হাজার টাকার মদের বিল, সঙ্গে ভাঙচুরের অভিযোগ, গ্রেফতারি পরোয়ানার মুখে পরীমণি!
দুটি ভিডিয়োই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন আনম খান। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। মিস খানের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পরে পুলিস একটি মামলা দায়ের করেছে। অন্যদিকে ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ব্লক এডুকেশন অফিসার।
বিঘাপুরের অফিসার মায়া রাই সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'আমাদের কাছে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। দনদমাউ গ্রামের একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা স্কুলেই ফেসিয়াল করাচ্ছিলেন। তাঁকে হাতে নাতে ধরে নেওয়ায় আরেক শিক্ষিকাকে কামড়ে দেন ওই প্রধান শিক্ষিকা। আমরা যথাযথ শাস্তি দেব'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)