ওয়েব ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতির বেনজির বিক্ষোভে তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুক্রবার সন্ধেয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। অন্যদিকে, গোটা বিষয়টি নিয়ে শুক্রবারই অ্যাটর্নি জেনারলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। এরপরই শনিবার সকালে আরও এক দফায় আলোচনার জন্য প্রধান বিচারপতির বাড়ি গেলেন প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন দুপুরে বৈঠকে বসতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এই বিতর্ককে সামনে রেখে তাদের অবস্থান কী? তা ঠিক করতেই এই বৈঠক বলে সূত্রের খবর। বিকেলে বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সাংবাদিক বৈঠক করা হবে।



শুক্রবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বেনজির বিক্ষোভ দেখান সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতি জে চেমালেশ্বর, বিচারপতি কুরিুয়ান জোসেফ, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি মদন লকুর। সেখানে নিজেদের অভিযোগ স্পষ্ট ভাবে না জানালেও তাঁরা বলেন, বর্তমান বিচারব্যবস্থায় অনেক ফাঁক রয়েছে। তার সঙ্গে বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। দেশের বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের চার প্রবীণতম বিচারপতি। তাঁরা জানান, গোটা বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে লিখিত আকারে জানালেও তাতে কোনও কাজ হয়নি। তিনি বিষয়টি নিয়ে কর্ণপাত করেননি।


আরও পড়ুন- নজিরবিহীন! 'সুপ্রিম বিচারের নিরপেক্ষতা' নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ বিচারপতিরা  


এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দিনভর তোলপাড় হয় গোটা দেশ। মত প্রকাশ করেন দেশের প্রাক্তন থেকে বর্তমান বহু আইনজীবী। প্রতিক্রিয়া মেলে রাজনৈতিক মহলের পক্ষ থেকেও। কেউ পক্ষে, আবার কেউ বিপক্ষে বললেও, সকলের মতে এই ঘটনায় দেশের সাধারণ মানুষ বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা কমবে।