ওয়েব ডেস্ক: কবীর সুমনের "দশ ফুট বাই দশ ফুট" নয়, তার চেয়েও সঙ্কীর্ণ। ভালোবাসার স্মৃতিসৌধ আরও একবার তৈরি হল জেলের ৩ ফুট বাই ৬ ফুটের সেলে। উত্তর প্রদেশের আগ্রা (যেখানে তাজমহলের অবস্থান) থেকে মহারাজগঞ্জ, দূরত্ব ৬৩০ কিলোমিটারের (১০ ঘণ্টা ৬ মিনিটের পথ)। আর সেখানেই শাহজাহানের মুমতাজ মহলকে নিজের বেগমের জন্য দেশলাই দিয়ে বানালেন ফ্রান্সের নাগরিক আলবার্ট পাসকাল। ২০১৬ সালের অন্তিম লগ্নে দেশলাইয়ের তাজমহলের সম্পূর্ণ রূপসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে, আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই তাজমহল পাড়ি দিয়েছে ফ্রান্সে। নিজের স্ত্রীর জন্যই ২ বছর ধরে এই শিল্পসৃষ্টিকে রূপ দেওয়ার কথা ভেবেছেন পাসকাল। ২ কেজি ফেভিকল আর ৩০ হাজার দেশলাই কাঠি, তিনমাস নাওয়া খাওয়ায়া ছেড়ে অবশেষে তাজমহলকে সযত্নে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়েছেন আলবার্ট।       


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


 


কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়! তবে ইচ্ছে কতটা উদ্যম হলে পরে দেশলাই কাঠি দিয়ে তাজমহল তৈরি হয়, এটা পাসকালের শিল্পসৃষ্টির আগে অনেকেরই হয়ত অজানা ছিল। ২০১৪ সালে নেপাল বর্ডার থেকে তিন কেজি চরস সহ ধরা পড়েছিলেন আলবার্ট পাসাকাল। তারপর থেকে ভারতের উত্তর প্রেদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার জেলেই ২ বছর ধরে কারাবাসে রয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রজু করেছে পুলিস। তাই জেল ভোগ। আর এদিকে সংশোধনাগারে থাকাকালীন পাসাকাল আবারও পাচার করলেন। হ্যাঁ, কারাগারের অন্তরালে এবার তিনি ভালবাসার গোপন ইস্তেহার পাচার করলেন।