নিজস্ব প্রতিবেদন: অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দিতে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র, তা সংবিধানকে অবজ্ঞা করেই করা হয়েছে। গণতন্ত্রের পরিকাঠামোয় আঘাত এনেছে মোদী সরকার। বিস্ফোরক অভিযোগ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর। অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জম্মু-কাশ্মীরের উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, গত ৬ অগস্ট অনুচ্ছেদ ৩৭০ এবং ৩৫এ বিলোপ করে মোদী সরকার।  রাজ্যসভা ও লোকসভায় পাশও করিয়ে নেয় কেন্দ্র। কিন্তু রাতারাতি সিদ্ধান্ত নিয়ে যেভাবে এই বিল পাশ করানো হয়, সেই পদক্ষেপকে বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্তের চেয়ে প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। যদিও, কংগ্রেসের একাংশ আবার মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমর্থন জানান।


আরও পড়ুন- খুনের অপরাধে জেলে বাবা, থানাতেই খুদের ভরন-পোষণের ব্যবস্থা করল পুলিস


উল্লেখ্য, গতকাল জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। রাহুল গান্ধী যদি দেখতে চান, তাহলে বিমান বিমান পাঠিয়ে দেবেন। জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপালের এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে রাহুলের কটাক্ষ, বিমানে তিনি ঘুরে দেখতে চান না। জম্মু-কাশ্মীরে ঘুরতে এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তাঁকে স্বাধীনতা দেওয়া হোক।


মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এখনই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ নয়। সরকারকে কিছুটা সময় দেওয়া প্রয়োজন। এ দিন জম্মু-কাশ্মীরে কার্ফু, ১৪৪ ধারা, ইন্টেরনেট-ফোন পরিষেবা বন্ধ-সহ কেন্দ্রের একাধিক পদক্ষেপ দ্রুত তুলে নিতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা। তবে, এই মামলার দ্রুত রায় দিতে রাজি হয়নি বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। ওই বেঞ্চ জানায়, “আমরাও চাই শান্তি ফিরে আসুক। কিন্তু রাতারাতি সম্ভব নয়। এখনও কেউ জানে না ওখানে কী চলছে? সরকারের উপর আস্থা রাখতে হবে। এটি স্পর্শকাতর বিষয়।”