নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও জটিল হয়ে উঠল মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের অঙ্ক। শিবসেনার সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। এমনটাই খবর সংবাদমাধ্যমে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার দিল্লিতে সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। সেখানে আধ ঘণ্টা মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়। কিন্তু সেই সাক্ষাতের পরও ইতিবাচক কিছু বেরিয়ে আসেনি। বরং গোটা গোটা বিষয়টি নিয়ে রহস্য জিইয়ে রাখেন পাওয়ার।


আরও পড়ুন-ব‌ই আর ফুটবল-এই দুই অনুভূতিকে হাতিয়ার করেই জনসংযোগ বাড়াতে চাইছে বাম যুবসংগঠন


সংবাদমাধ্যমে পাওয়ার বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের মানুষ এনসিপি-কংগ্রেসকে বিরোধী আসনে বসার নিদান দিয়েছেন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় বিধায়ক আমাদের হাতে নেই। যাদের সেই সংখ্যা রয়েছে তারা সরকার গঠন করবে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়েও আমি নেই।’



মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য এনসিপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে শিবসেনা। দলের নেতা সঞ্জয় রাউত দেওয়ালির দিনই শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাত করে জোটের কথা পাড়েন। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে স্পষ্ট কোনও সংকেত পাননি।


এদিকে, সোমবারই অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। এদিন সাক্ষাত শেষে তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। খুব শীঘ্রই রাজ্যে রাজ্যে নেবে নতুন সরকার।


সোমবার অমিত শাহের সঙ্গে ফডণবীসের সঙ্গে সাক্ষাতে যেমন ইতিবাচক কিছু বেরিয়ে আসেনি তেমনই হয়েছে শরদ-সোনিয়া বৈঠকের ফল। ফলে মারাঠা মুলুকে সরকার গঠনের ভবিষ্যত এখন বিশবাঁও জলে।


আরও পড়ুন-জগদ্ধাত্রী পুজোয় ট্রেনে ব্যাপক ভিড়, শেওড়াফুলিতে ট্রেন থেকে পরে মৃত ২ যাত্রী


কংগ্রেস সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতারা চাইলেও রাজ্যে শিবসেনাকে সমর্থন দিয়ে সরকার গঠনের ব্যপারে ‘না’ করে দিয়েছেন সোনিয়া। অন্যদিকে, এদিন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত এদিন বলেন, যাদের পক্ষে মানুষ রায় দিয়েছে তারাই সরকার গঠন করবে। এনিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত এই সঞ্জয় রাউতই সোমবার দাবি করেন তাঁদের কাছে ১৭০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। সবেমিলিয়ে শেষপর্যন্ত রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকেই যাচ্ছে মহারাষ্ট্র? এই প্রশ্নটাই এখন বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে।