নিজস্ব প্রতিবেদন:  কয়েক ফুটের দূরত্ব।  ভোরের আলো ফোটার আগেই রাস্তায় কিছুদূর অন্তর উদ্ধার হল পাঁচটি দেহ। মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের ছাপ স্পষ্টই বলে দিচ্ছিল, একই কায়দায় খুন করা হয়েছে ওই পাঁচ জনকে। অথচ মৃত ৫ জনের মধ্যে কোনও সম্পর্কই নেই, নেহাতই অপরিচিত। প্রাথমিক তদন্তে নেমে কিছুটা দিশাহারা ছিল পুলিসও।  এরই মধ্যে খবর মেলে স্থানীয় হাসপাতালেও এক মহিলা রোগীকে খুন করা হয়েছে একই কায়দায়। এবার হাসপাতালের সিসিটিভি সূত্র ধরেই ৬ টি খুনের কিনারা করল পুলিস। হরিয়ানায় ২ ঘণ্টায় ৬ জনকে ‘খুন’ করেছেন প্রাক্তন সেনাকর্মী। আর এর সঙ্গেই উঠে এল হরিয়ানার এক ভয়ঙ্কর ‘সিরিয়াল কিলিং’-এর ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: হিন্দুস্তান শুধু হিন্দুদের, মুসলমানরাই যত নষ্টের গোড়া, দাবি বিজেপি বিধায়কের


মঙ্গলবার রাত ২টো থেকে ভোর ৪টের মধ্যে হরিয়ানার পালওয়ালে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচটি দেহ উদ্ধার করে পুলিস।  দেহগুলি দেখে বোঝা যায়, লোহার রড জাতীয় ভারী বস্তু দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করে খুন করা হয়েছে তাঁদের। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় হাসপাতাল থেকে খবর যায় পুলিসের কাছে। হাসপাতালের বাথরুম থেকে এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই মহিলাকেও একইভাবে খুন করা হয়েছে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস।


দেখা যায়, এক ব্যক্তি লোহার রড হাতে নিয়ে হাসপাতালে ঘুরছেন। কিছুক্ষণের জন্য হাসপাতালের বাথরুমে ঢুকে বসে থাকেন তিনি। তারপর দ্রুত গতিতে হেঁটে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান তিনি।



আরও পড়ুন: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে সেমি হাইস্পিড ট্যালগো-র দৌড় বিশবাঁও জলে


পুলিস মনে করছে, হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই রাস্তায় আরও পাঁচটি  খুন করেন তিনি। তদন্তে জানা যায়, নরেশ নামে ওই ব্যক্তি প্রাক্তন সেনাকর্মী। তাঁকে একটি মনরোগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর চিকিত্সা চলছে।