জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জওয়ান। মাটি খুঁড়ে সেই ঘটনা তুলে এনে হইচই ফেলে দিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। নিশানায় খোদ প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তালিকায় ছিলেন তত্কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। এক সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন চ্যানেলে সেই বোমা ফাটানোর পর রবিবার ফের একই কথা বললেন সত্যপাল। শুধু তাই নয় তিনি বলেন, বিজেপি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিল পুলওয়ামা শহিদদের লাশের উপরে দাঁড়িয়ে। ওই ঘটনার যদি তদন্ত হতো তাহলে তত্কালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হতো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কালিয়াগঞ্জে গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মন, স্ত্রীকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু


২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে হামলা চালায় বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি। তাতেই ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় একাধিক গাড়ি। জওয়ানদের দেহাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রাস্তায়। ঠিক সেই দিনই উত্তরাখণ্ডের একটি জাতীয় উদ্যানে একটি তথ্যচিত্রের শ্যুটিংয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সত্যপালের দাবি, শ্যুটিং থেকে বেরিয়ে একটি ধাবা থেকে তাঁকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। গোটা ঘটনা তাঁকে আমি বলি। সেসব শুনে প্রধানমন্ত্রী বলেন পুরোটা চেপে যেতে। 


রাজস্থানের আলওয়াড় জেলার বাঁসুরে রবিবার এক অনুষ্ঠানে সত্যপাল মালিক এনিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে গোটা বিষয়টা চেপে যেতে বলেছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়াই হয়েছে শহিদ সেনাদের লাশের উপরে দাঁড়িয়ে। ঠিকঠাক তদন্ত হলে তত্কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হতো। বহু অফিসারের জায়গা হতো জেলে। দেশজুড়ে প্রবল বিতর্ক হতো। 


সর্বভারতীয় এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছিলেন সত্যাপাল মালিক। তাঁর দাবি ছিল, কাশ্মীরে রিলায়েন্সের একটি ইন্সিওরেন্সে সবুজ সংকেত দেওয়ার জন্য তাঁকে ৩০০ কোটি টাকা অফার করা হয়েছিল। সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আরএসএসের এক শীর্ষ নেতা। সেই বিমা বাতিল করে দেন সত্যপাল। পাশাপাশি তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও অজিত ডোভাল তাঁকে পুলওয়ামা ঘটনাটা চেপে যেতে বলেছিলেন। সত্যপালের দাবি, সেনার তরফে তাঁকে বলা হয়েছিল তাঁরা ওই ২৭০০ জওয়ানকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিমান দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায়। আমার কাছে যদি বিমান চাওয়া হতো তাহলে ২ দিনের মধ্যে বিমানের ব্যবস্থা করে দিতাম। কারা এতবড় একটা বিষয় উড়িয়ে দিল?


উল্লেখ্য, ওই ৩০০ কোটি টাকা ঘুষকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। সেই তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সত্যপাল মালিক। এখন এতবড় একটা অভিযোগের পর তাঁর উপরে কী কোন চাপ আসবে না? ওই বৈদ্যুতিন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাতকার বলেন, ওরা জানে না কার সঙ্গে 'পাঙ্গা' নিয়েছে? আমার সঙ্গে গোলমাল করলে ওরা হরিয়ানা, রাজস্থানে মিটিং করতে পারবে না। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)