নিজস্ব প্রতিবেদন:  পুলওয়ামা হামলার চার দিনের মাথায় কাশ্মীরে বড়সড় সাফল্য পেল সেনা। ওই আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দুই চক্রীকে খতম করেছে সেনা। এদের মধ্যে একজন জইশ কমান্ডার ও মাসুদ আজহারের বিশ্বস্ত সঙ্গী কামরান। অন্যজন রশিদ গাজি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সে একজন আফগান নাগরিক ও আইইডি বিশেষজ্ঞ। পাশাপাশি তৃতীয় এলাকারই এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে। তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এনিয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মাধ্যমিক প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্তে সিআইডি , গঠিত হল সিট


রবিবার রাতে খবর আসে পুলওমার পিংলান গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে ২-৩ জন জঙ্গি। খবর পেয়েই রাতেই সেখানে পৌঁছে যায় সেনা। গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি। তবে ঘন বসতি থাকার কারণে অভিযানে সাবধানে এগোতে থাকে সেনা, সিআরপিএফ ও কাশ্মীর পুলিসের যৌথবাহিনী। তবে অভিযান চালানোর সময় এলাকার মানুষজন নিরাপত্তাবাহিনীকে ঘিরে পাথর ছুড়তে থাকে। লাউড স্পিকারে তাদের সরে যেতে বলে সেনা। জঙ্গিদের পাশাপাশি ২ সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।




এদিন সকালে পিংলানে একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে সেনা। এর মধ্যেই আঘাত আসে সেনা শিবিরে। পালাবার পথ না পেয়ে জঙ্গিরা গুলি চালালে শহিদ হন এক মেজর সহ চার জওয়ান। এরপরই ওই বাড়িটি উড়িয়ে দেয় সেনা। এরা সবাই ৫৫ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কর্মী।


আরও পড়ুন-বিজেপি যোগ দিচ্ছেন শঙ্কুদেব পণ্ডা


কে এই রশিদ ও কামরান? ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী রশিদ গাজি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর আফগান নাগরিক রশিদ গাজিই পুলওয়ামার আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দারকে বিস্ফোরণের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। পাশাপাশি গোটা অপারেশনের দায়িত্ব ছিল পাকিস্তানি কামরান। কয়েক মাস আগে পুঞ্চ সেক্টর দিয়ে সে ভারতে ঢুকেছিল। তার সঙ্গে আরও ১৫ জন ছিল বলে খবর। কামরান ছিল জইশের পুলওয়ামা জেলার কমান্ডার। ফলে মনে করা হচ্ছে পুলওয়ামা হামলায় তার হাত রয়েছে।


গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আফগান নাগরিক রশিদ গাজি এলাকা থেকে পালাতে পারেনি। একইসঙ্গে এলাকায় থাকতে পারে পাক নাগরিক ও পুলওয়ামা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী কামরানও।


উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআপিএফের ৭৮টি গাড়ির একটি কনভয়ে হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গি। বিস্ফোরণের দাপটে উড়ে যায় জওয়ানভর্তি একটি বাস। ওই হামলায় এখনও পর্যন্ত ৪০ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।