Molestation: অমানবিক! নাতনির উপর যৌনাচার দাদুর, ধর্ষণ করত বাবা-দাদা

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়ির বাইরে নয়, নিজের পরিবারের হাতেই নারকীয় অত্যাচার। দাদু ও কাকা 'খারাপ স্পর্শ' করত, সেই সঙ্গে চলত বাবা ও দাদার লাগাতার ধর্ষণ। পাঁচ বছর ধরে নির্যাতিত ওই বছর ১১-র তরুণী। ঘটনায় স্তম্ভিত পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে পুনে শহরের বুন্ডগার্ডেন থানায়।

এক নাবালিকাকে, তার এবং বাবা, বার বার ধর্ষণ করে। সেই সঙ্গে যৌনাচার চালায় দাদু ও কাকা। শনিবার এমনই অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুনে পুলিসের কাছে। মেয়েটির দাদু ও দূর সম্পর্কের কাকা সুযোগ পেলেই অত্যাচার চালাত। যদিও পুলিস ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারায় ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।  

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারার অধীনে ধর্ষণের একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে মেয়েটির ভাই এবং বাবার (৪৫) বিরুদ্ধে, তার দাদু (৬০) এবং দূর সম্পর্কের কাকার (২৫) বিরুদ্ধে ধারা ৩৫৪ (নারীর শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ) এর অধীনে মামলা করা হয়েছে।

নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা বিহারের বাসিন্দা। বর্তমানে তারা পুনেতে বসবাস করছেন। পুলিস ইন্সপেক্টর (অপরাধ) অশ্বিনী সাতপুতে বলেন, "মেয়েটি তার স্কুলে 'গুড টাচ এবং ব্যাড টাচ' সেশনের সময় সময় ঘটনাটি বলে। গত পাঁচ বছর ধরে তার উপর নির্যাতন চলছিল।"

সাতপুতে অভিযোগের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, বাবা ২০১৭ সালে তার মেয়েকে যৌন নির্যাতন শুরু করেছিলেন যখন তারা বিহারে বাস করতেন। অন্যদিকে, পুলিস জানায়, "মেয়েটির বড় ভাই তাকে ২০২০র নভেম্বর থেকে যৌন নিপীড়ন শুরু করে। তার দাদা এবং কাকাও তাকে খারাপভাবে স্পর্শ করত"।

সাতপুতে বলেন, যেহেতু সমস্ত ঘটনা আলাদাভাবে ঘটেছে এবং অভিযুক্তরা একে অপরের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত নয়, তাই এটি গণধর্ষণের ঘটনা নয়। তবে এটিকে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (POCSO) আইনের ধারায় ফেলা হবে।