জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই চক্ষু থ হয়ে যায় পুলিসের। ঘরের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় মেলে বাবার দেহ। আর ওদিকে মুখে প্লাস্টিক জড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায় মা ও ৮ বছরের ছেলের নিথর দেহ। অত্যন্ত মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পুনেতে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস মনে করছে, পুনের বাসিন্দা ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী স্ত্রী ও ৮ বছরের সন্তানকে খুনের পর নিজেও আত্মঘাতী হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৪ বছর বয়সী ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর নাম সুদীপ্ত গঙ্গোপাধ্য়ায়। পুনের আউন্ধ এলাকায় স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা গঙ্গোপাধ্য়ায় ও ৮ বছরের সন্তান তনিষ্ককে নিয়ে থাকতেন সুদীপ্ত। বাড়িতেই মেলে ৩ জনের নিথর দেহ। পুনের চতুষরিঙ্গি থানার এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই দম্পতিকে ফোন করছিলেন তাঁদের এক আত্মীয়। সম্পর্কে যিনি সুদীপ্তর ভাই। বেঙ্গালুরুতে থাকেন তিনি। দাদা-বৌদিকে বার বার ফোন করেও কোনও সাড়া না পেয়ে, সন্দেহ হয় তাঁর। তখনই এক বন্ধুকে দাদার বাড়িতে যেতে বলেন তিনি। ফ্ল্যাটে পৌঁছে ওই বন্ধু দেখেন যে, ফ্ল্যাট ভিতর থেকে তালাবন্ধ। তারপরই তিনি পুলিসে মিসিং ডায়েরি করেন। 


তদন্তে নেমে পুলিস ওই দম্পতির মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে দেখে যে, ফোন দুটি ফ্ল্যাটের ভিতরই রয়েছে। তারপরই ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটের তালা খোলে পুলিস। তালা খুলতেই, ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে সুদীপ্তর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে মুখে প্লাস্টিক জড়ানো অবস্থায় স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা ও ছেলে তনিষ্কর নিথর দেহ। পুলিস যদিও মনে করছে যে, স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে সুদীপ্ত। তবে ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। 


কী কারণে স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে সুদীপ্ত আত্মঘাতী হলেন? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সুদীপ্ত তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় তাঁর চাকরিটি ছেড়ে দেন। চাকরি ছেড়ে নিজে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন। গোটা ঘটনার পিছনে এর কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।


আরও পড়ুন, 'এর জন্য আমি জেলে যেতেও তৈরি...' লোকসভায় হুঙ্কার মহুয়ার!


মাকে খুন করে হাত-পা কেটে ব্য়াগে পুরে রাখে মেয়ে! ফ্ল্যাটেই মিলল পচাগলা দেহ



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)