‘রথযাত্রা, লোকারণ্য মহা ধুমধাম’.....না, এবারে ভক্তশূন্য পুরীতে জারি ১৪৪ ধারা
রথযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রত্যেকের আরটি-পিসিআর (RTPCR) পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট ও টিকাকরণের সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনা আবহের মধ্যেই আজ পুরীতে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা। গত বছরের মতো এবারও ভক্তশূন্য থাকছে পুরীর রথযাত্রা। প্রশাসনের তরফে জারি করা হয়েছে বেশ কিছু করোনা বিধিনিষেধ। এবার পুরীর রথযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন সীমিত সংখ্যক সেবায়েত ও কর্মী। রথযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রত্যেকের আরটি-পিসিআর (RTPCR) পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট ও টিকাকরণের সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পুরী জগন্নাথ মন্দিরের প্রশাসক অজয় জেনা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুসারে এবং ওড়িশা সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, গত বছরের মতো এবছরও ভক্তহীন থাকছে পুরীর রথযাত্রা। এবছর কোনও ভক্ত রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তিনি আরও জানিয়েছেন যে,, যে সেবায়েতদের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নেওয়া হয়ে গেছে, শুধুমাত্র তাঁরাই রথের রশি টানতে পারবেন। রথযাত্রা উপলক্ষে থাকছে নিরাপত্তার কড়াকড়ি। প্রায় এক হাজার কর্মী রয়েছেন নিরাপত্তায়। এছাড়া প্রচুর পুলিশও মোতায়েন থাকবে। রবিবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত পুরীতে জারি কার্ফু। ওড়িশা সরকার নির্দেশ জারি করে সব হোটেল, লজ, গেস্ট হাউজ খালি করে দিতে বলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: RSS-এ বড় রদবদল, পূর্ব ভারতের দায়িত্ব থেকে সরানো হল প্রদীপ জোশীকে
ভক্তশূন্য পুরীতে বলভদ্রদেবকে তাঁর ‘তালধ্বজ’ রথে তোলা হয়েছে।। বেরিয়ে পড়েছেন সুভদ্রাও। জগন্নাথদেবই বা আর অপেক্ষা করেন কী করে! এই তিন দেবদেবী রথে উঠলেই একে একে শুরু হয় রথযাত্রা সংক্রান্ত একাধিক নিয়ম। বিশেষ ধরনের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় এই তিন দেবদেবীর তিনটি রথ। জগন্নাথদেবের রথের নাম ‘নন্দীঘোষ’। বলভদ্রের রথের নাম ‘তালধ্বজ’ এবং সুভদ্রার রথের নাম ‘দর্পদলন’। আজকের এই রথযাত্রায় অংশ নেবেন ৩ হাজার সেবায়েত, থাকছেন ১ হাজার কর্মী। পুরী শহরজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। যে রাস্তা ধরে জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রার রথ যাবে, সেই রাস্তা সংলগ্ন ছোট ছোট রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকেই মন্দিরের ভিতরের আচার অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে।
রথ হল গতিময় জীবনের প্রতীক। সেই রথে প্রভু নিজে কিন্তু খর্বাকৃতি। তিনি বামনরূপ ধারণ করেন যাতে সহজেই সাধারণ মানুষ তাঁকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন। মন্দির থেকে দেবতা নিজে নেমে আসেন ভক্তদের দর্শন দিতে। আজও সেই দিন, তবে করোনা আবহে অবশ্য পালন হচ্ছে বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনেই।