নিজস্ব প্রতিবেদন: চৌকিদার চোর বিতর্কে নতুন করে সুপ্রিম কোর্ট হলফনামা জমা দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। জানা গিয়েছে, তিনি ফের দুঃখপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু ক্ষমা চাননি। সুপ্রিম কোর্টে রায় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সম্প্রতি রাফালের নথি নিয়ে একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ‘চুরি হওয়া’ রাফাল নথি বিচার প্রক্রিয়ায় গ্রাহ্য করা হবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধী জানান, সুপ্রিম কোর্টও স্পষ্ট করল চৌকিদার চোর। রাহুলের এ হেন মন্তব্য আদালত অবমাননার সামিল বলে অভিযোগ করে বিজেপি। পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেন বিজেপি সাংসদ মিনাক্ষী লেখি। এর পর রাহুলের মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিস দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ জানায়, রাহুলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে এ ধরনের মন্তব্য করেনি সুপ্রিম কোর্ট। আইনের প্রশ্নে রাফালের কিছু নথিকে প্রামাণ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেয়, যা অ্যাটর্নি জেনারেলের ঘোরতর আপত্তি ছিল।


সুপ্রিম কোর্টের নোটিসে রাহুল দুঃখ প্রকাশও করেন। তাঁর সাফাই, ভোটের উত্তপ্ত প্রচারে এ ধরনের মন্তব্য করে ফেলেন। যার জন্য দুঃখিত বলে দাবি করেন তিনি।  যদিও, রাহুলের নতিস্বীকারে মন গলেনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের। হলফনামা দিয়ে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ হলফনামা জমা দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।


আরও পড়ুন- দেশবাসীকে রেকর্ড সংখ্যক ভোট দেওয়ার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী


উল্লেখ্য, রাফাল বিতর্কে বরাবরই চাঁচাছোলা ভাষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী। প্রায়শই মোদীকে ‘চৌকিদার চোর’ বলে সম্বোধন করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাফাল চুক্তির ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাত অনিল অম্বানীকে পাইয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও রাফাল চুক্তি প্রক্রিয়া এবং দাম নিয়ে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।