বিজেপির ইস্তেহারকে ‘বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির কণ্ঠস্বর’ বলে কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধী
গত কাল মোদী থেকে রাজনাথ সবাই দাবি করেছেন, গত কয়েকমাস ধরে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমেই দেশের ‘মন কি বাত’-কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত কাল ইস্তেহার প্রকাশ হয় বিজেপির। আজ শানালেন রাহুল গান্ধী। নাম না করে টুইটে নরেন্দ্র মোদীকে তুলোধনা করেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি লেখেন, এক বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির কণ্ঠস্বরই প্রতিফলিত হয়েছে ওই ইস্তেহারে। তাঁর আরও অভিযোগ, বদ্ধ ঘরে বসে তৈরি তাদের ইস্তেহার। অদূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং দাম্ভিকতাই প্রকাশ পেয়েছে বিজেপির ইস্তেহারে।
গত কাল মোদী থেকে রাজনাথ সবাই দাবি করেছেন, গত কয়েকমাস ধরে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমেই দেশের ‘মন কি বাত’-কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অরুণ জেটলির অভিযোগ ছিল, কংগ্রেসের ইস্তেহার তৈরি হয়েছে টুকরো টুকরো ভাবনায়। তার পাল্টা জবাবে রাহুল আজ বলেন, দীর্ঘ আলোচনার মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তেহার। জায়গা পেয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষের মতামত।
আরও পড়ুন- মধ্যপ্রদেশের পর দিল্লিতে ২৩০ কোটি বেনামি লেনদেনের হদিশ, নাম জড়াল আরও ১ নেতার
ইস্তেহার প্রকাশের সময় রাজনাথ সিং প্রথমেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। জাতীয়তাবাদই হবে মূলমন্ত্র। মোদী বলেন, “জাতীয়তাবাদ আমাদের প্রেরণা, গরিবের ক্ষমতায়ন আমাদের লক্ষ্য এবং সুশাসন আমাদের মন্ত্রণা।” এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, সুশাসন আসবে বলছেন, আপনিই তো দুঃশাসন! কংগ্রেস তাদের ইস্তেহারে ২০ শতাংশ গরিবদের বছরে ৭২ হাজার টাকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কংগ্রেসের ‘ন্যায়’-এর পালটা এ দিন বিজেপির তরফে বলা হয়, কৃষক সম্মান নিধি-র আওতায় প্রত্যেক কৃষককে বছরে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এর আগে ২ হেক্টর বা তার কম কৃষিজমি থাকলে এই সুবিধা পাওয়া যেত। কংগ্রেস এবং বিজেপি তাদের দুই ইস্তেহারে কর্মসংস্থান, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং দারিদ্রদূরীকরণের প্রতিশ্রুতির কম-বেশি জায়গা পেয়েছে।