নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘সুপ্রিম রায়’ আসার পর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী টুইটে প্রতিক্রিয়া দিলেন, রাফাল দুর্নীতির তদন্তে অনেক দরজা খুলে গেল বিচারপতি জোশেফের রায়ে। তাঁর রায়ের কোটেশন উদ্ধৃত করে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত দাবি করেন রাহুল গান্ধী। হ্যাসট্যাগ যোগ করেন ‘BJPliesOnRafale’ অর্থাত্ রাফাল নিয়ে মিথ্যে কথা বলছে বিজেপি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অন্যদিকে রাহুল গান্ধীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে আদাজল খেয়ে নামে বিজেপিও। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে চোর বলেন বলে রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন। কিন্তু খোদ ওলাঁদই জানান, রাহুল গান্ধী মিথ্যে বলছেন। অফসেটের সিদ্ধান্ত নেয় দ্যাসোঁ সংস্থাই, প্রেসিডেন্ট নয়।



‘চৌকিদার চোর’ মন্তব্যে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ‘সতর্ক’ করেই আজ অব্যাহতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানায়, রাহুল গান্ধীর নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ করেছে আদালত। তবে, এ ধরনের মন্তব্য করার আগে সতর্ক থাকা উচিত তাঁর। গত ডিসেম্বরে রাফাল মামলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টে রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন বৃহস্পতিবার খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, প্রশান্ত ভূষণদের আবেদনের সারবত্তা নেই।



আরও পড়ুন- ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ তৈরিতে সুপ্রিম কোর্টের অবদান! প্রধানমন্ত্রীর ভুয়ো চিঠি ঘুরছে বাংলাদেশে, কড়া নিন্দা ভারতের


তিন বিচারপতির বেঞ্চে দু’রকম রায় লেখা হয়। বিচারপতি কাউল যে রায় পড়ে শোনান, তাতে সহমত পোষণ করেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সেই রায়ে এফআইআর নিয়ে ললিতাকুমারি মামলার প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে। অন্য দিকে অন্য একটি রায়ে এই মামলার পুনর্বিবেচনার আইনি ক্ষেত্র স্বল্প বলে ব্যাখ্যা করেন বিচারপতি কেএম জোসেফ। তবে, সর্বসম্মতিতে রাফাল দুর্নীতি মামলার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করা হয়েছে।