নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের মুখে আরও ভারী হচ্ছে রাহুল গান্ধীর পাল্লা। এম কে স্টালিন, কুমারস্বামীর পর আরও স্পষ্ট সুরে রাহুল গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সমর্থনে গলা মেলালেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। রবিবার, তেজস্বী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব গুণই রয়েছে রাহুলের মধ্যে। পাশাপাশি মোদী সরকারকে এক হাত নিয়ে তেজস্বীর অভিযোগ, কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে কংগ্রেসকে কালিমালিপ্ত করছে বিজেপি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন আদ্যপ্রান্তে রাহুলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল লালু পুত্রকে। পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তেজস্বী বলেন, তাঁর (রাহুল গান্ধী) বিরুদ্ধে যতই সমালোচনার পথে হেঁটেছে বিজেপি, ততই মানুষের মন জয় করেছেন তিনি। রাহুলের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে বলে দাবি করেন তেজস্বী। সম্প্রতি তিন রাজ্যে কংগ্রেসের ভাল ফলের কৃতিত্ব রাহুল গান্ধীকেই দেন তিনি। তাঁর কথায়, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৬৯ শতাংশ মানুষ কিন্তু ভোট দেননি মোদীকে। এ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রত্যয়ী সুর শোনা গেল তেজস্বীর গলায়।


আরও পড়ুন- বেতন ১৫ লক্ষ টাকা, পরীক্ষা ছাড়াই শুধুমাত্র ইন্টারভিউ-র মাধ্যমে চাকরি দিচ্ছে SBI


বিহারের প্রাক্তন ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাহুলের মধ্যে সব গুণই রয়েছে। দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের সভাপতি তিনি। ১৫ বছরের সাংসদ। এমনকি দেশের পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সামলাচ্ছেন তিনি। তাই, তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নই ওঠে না। সম্প্রতি, বিজেপিকে রুখতে ২৩ জন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রী একজোট হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড মঞ্চে। ব্রিগেড সেরেই স্টালিন, কুমারস্বামী স্পষ্ট করে দেন রাহুলকেই তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছেন। অন্য দিকে অখিলেশ ইঙ্গিত দিয়েছে, উত্তর প্রদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন। রাজনৈতিক শিবিরের দাবি, মায়াবতীকেই প্রধানমন্ত্রী হিবাসে তাঁর প্রথম পছন্দ। তেজস্বীর গলায় রাহুলের জয়গান।


আরও পড়ুন- তামিলনাড়ুতে এইমসের শাখার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন মোদীর, কালো পতাকা ভাইকোর


রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মহাজোটের থেকে এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে বিরোধীদের মধ্যে। মমতা যেমন বরাবরই কংগ্রেসকে দূরে রেখে আঞ্চলিক দলগুলির ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টায় রয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে অন্যতম ফ্যাক্টর ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে নির্বাচনের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে হাঁটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিরোধীরা।