কাল সমালোচনা, আজ আলোচনা! পর্রীকরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে সৌজন্য সাক্ষাত রাহুলের
রাফালের ফাইল সংক্রান্ত বিষয়ে পর্রীকরের সঙ্গে আলোচনা করলেন কি রাহুল? কারণ, গত কালই তাঁর পর পর টুইটে রাফাল সংক্রান্ত ফাইল নিয়ে মোদী সরকারের একহাত নেন কংগ্রেস সভাপতি
নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল রাফাল নিয়ে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করেন টুইটে। আজ, সশরীরে গিয়ে কুশল বিনিময় করলেন। মুখে ব্যক্তিগত সাক্ষাত্ বললেও, রাহুল গান্ধীর এ হেন সৌজন্যবোধকে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না বিজেপি। রাহুল টুইটে লেখেন, আজ সকালে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের সঙ্গে সাক্ষাত্ করলাম। তাঁর দ্রুত আরোগ্যের কামনা করছি। এ সাক্ষাত্ একান্তই ব্যক্তিগত ছিল। বলে রাখি, বেশ দীর্ঘদিন ধরেই অগ্ন্যাশয়ের সংক্রমণে ভুগছেন পর্রীকর। যদিও শত অসুস্থতার মধ্যে সরকারি কাজকর্ম চালানোর কোনও ত্রুটি রাখছেন না গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- গুরুকে হারিয়ে কেঁদে ফেললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ
জল্পনা ছিল, রাফালের ফাইল সংক্রান্ত বিষয়ে পর্রীকরের সঙ্গে আলোচনা করলেন কি রাহুল? কারণ, গত কালই তাঁর পর পর টুইটে রাফাল সংক্রান্ত ফাইল নিয়ে মোদী সরকারের একহাত নেন কংগ্রেস সভাপতি। গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, রাফালের ফাইল বিষয়ে আলোচনা হয়নি। শুধুমাত্র কুশল বিনিময় করেছেন রাহুল। তবে, টুইটে রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, ৩০ দিন পরেও প্রকাশ্যে আসা গোয়ার অডিয়ো টেপ কোনও এফআইআর বা তদন্ত হল না। মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাহুল গান্ধী একটি অডিয়ো টেপ (যেটির সত্যতা যাচাই করেনি জ়ি ২৪ ঘণ্টা ডট কম) প্রকাশ্যে এনে অভিযোগ করা হয়, গোয়ার এক মন্ত্রী ফোনে দাবি করেন, রাফাল সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর খাটের তলায় রয়েছে। গোয়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে পর্রীকর দাবি করেছেন ওই ফাইল তাঁর কাছে থাকার কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হচ্ছে না। অডিয়ো টেপে গোয়ার মন্ত্রী বিশ্বজিত্ রাণের বলে দাবি কংগ্রেসে। যদিও ওই অডিয়ো টেপের কোনও সত্যতা নেই বলে আগেই দাবি করেছেন মনোহর পর্রীকর। তাঁর কথায়, রাফাল এমন কোনও ফাইলের খবর সম্পূর্ণ মিথ্যে।
আরও পড়ুন- PUBG নিয়ে মুখ খুললেন মোদী
উল্লেখ্য, সংসদেও গোয়ার অডিয়োটি উত্থাপন করার চেষ্টা করেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু কেন্দ্র এবং লোকসভার অধ্যক্ষা সুমিত্রা মহাজন বলেন, নিজের দায়িত্ব ওই অডিয়ো রাহুল সংসদে চালাতে পারেন। উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় শেষমেশ ক্ষান্ত হতে হয় রাহুল গান্ধীকে। রাফাল বিষয়ে দাম এবং চুক্তির প্রক্রিয়া এবং অনিল অম্বানিকে বরাত পাইয়ে দেওয়া নিয়ে কংগ্রেস যে অভিযোগ তুলেছিল, সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেয়। চুক্তির প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। অনিল অম্বানির বরতা এবং দাম নিয়ম মেনেই হয়েছে বলে জানানো হয়।