নিজস্ব প্রতিবেদন: গরিবদের ন্যূনতম মাসিক আয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন রাহুল। কংগ্রেস সভাপতি আশ্বাস দিলেন, ''আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ২০১৯ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলে ভারতের প্রত্যেক গরিবের ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করা হবে''। রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ''প্রতিটি রাজ্যে গরিবদের ন্যূনতম আয়ের ব্যবস্থা করা হবে। কেউ আর গরিব ও অভুক্ত থাকবে না''।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১১ সালের আদমসুমারি অনুযায়ী, দেশের ২৪ কোটি পরিবারের মধ্যে ৭ কোটি পরিবার দারিদ্র সীমার নীচে। টুইটারেও রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, কোটি কোটি ভাই-বোনদের অভুক্ত রেখে নতুন ভারত গঠন করা সম্ভব নয়। বলে রাখি, ২০২২ সালে নতুন ভারত গঠনের লক্ষ্য নিয়েছে মোদী সরকার। প্রতিটি ভারতবাসীর মাথায় ছাদ, বিদ্যুত্ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পৌঁছনোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 



এর আগে 'গরিবি হঠাও'য়ের ডাক দিয়েছিলেন রাহুলের ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী। এবার সেই একই পথে হাঁটলেন কংগ্রেস সভাপতি। তবে গালভরা প্রতিশ্রুতি দিলেও কীভাবে এই প্রকল্প রূপায়নের জন্য বিশাল অর্থ জোগাড় করা হবে, তার দিশা দিতে পারেননি রাহুল গান্ধী। এমনকি গরিবের মাপকাঠিই বা কী হবে, তাও স্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করতে চলেছে মোদী সরকার। ওই বাজেটে দেশের গরিবদের জন্য 'ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম'-র বিষয়টি থাকতে পারে। তা আঁচ করেই আগেভাগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখলেন কংগ্রেস সভাপতি। 


উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম প্রকল্প (UBI) চালু করার ভাবনাচিন্তা করছে মোদী সরকার। শোনা যাচ্ছে, বেকারদের অ্যাকাউন্টে মাসের শেষে একটা অর্থ দেওয়া হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট আয়ের নীচে ব্যক্তি বা দারিদ্র সীমার নীচে থাকা ব্যক্তিদেরও এই প্রকল্পে সামিল করার ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রের। শোনা যাচ্ছে, ২০ কোটি মানুষ সামিল হতে পারেন এই প্রকল্পে। কোনও শর্ত ছাড়াই মাসের শেষে তাঁদের অ্যাকাউন্ট ঢুকে যাবে টাকা।


ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম প্রকল্পটা কী? এই প্রকল্পের আওতায় মাসের শেষে কোনও শর্ত ছাড়াই একটা নির্দিষ্ট অর্থ ফেলা হয় দেশের নাগরিকের ব্যাঙ্কখাতায়। ১৯৬৭ সালে এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন মার্টির লুথার কিং জুনিয়র। পাশ্চাত্যের অনেক দেশেই বেকার ভাতার চল রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে ইতিমধ্যেই ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চলেছে পাইলট প্রকল্প। এই প্রকল্পে সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে টাকা। পরে সমীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁদের জীবনযাত্রা আমূল বদলে গিয়েছে। 


আরও পড়ুন- রেডমি-রিয়েলমি-কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সোমবার জলের দরে এই ফোন নিয়ে আসছে স্যামসং


বিশ্বের আর কোথায় কোথায় চলছে এই প্রকল্প? সাইপ্রাস, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক প্রদেশ এবং ব্রাজিল, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, সুইডেন, সুইত্জারল্যান্ড ও ব্রিটেনে ইউবিআই চালু রয়েছে। তবে ভারতের মতো বড় দেশে, তদুপরি বিশাল জনসংখ্যার দেশে কীভাবে চালু করা যাবে? কী-ই বা হবে মানদণ্ড? তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।