নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল রাহুল গান্ধী নেতৃত্বে বিরোধী প্রতিনিধি দলকে। তার ভিডিয়ো প্রকাশ করে প্রশাসনকে নিশানা করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে দিল্লি থেকে বিমানে রওনা হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর সঙ্গে প্রতিনিধি দলে ছিলেন কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, আরজেডি-র মনোজ ঝা, শরদ যাদব, এনসিপি-র মজিদ মেনন, ডিএমকের তিরুচি সিবা এবং তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী। কিন্তু শ্রীনগর থেকে ফেরত পাঠানো হয় বিরোধী প্রতিনিধি দলকে। প্রশাসনকে বিঁধে একটি ভিডিয়ো টুইট করে রাহুল গান্ধী লিখেছেন,'গত ২০ দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে যে নির্মম প্রশাসন ও পাশবিক শক্তির প্রয়োগ করা হয়েছে, গতকাল তাঁর স্বাদ পেলেন বিরোধী নেতা ও সাংবাদিকরা, যখন আমরা শ্রীনগরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলাম।' 



এদিন প্রতিবাদে টুইটে গর্জে উঠেছেন রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কাও। কাশ্মীরীদের গণতন্ত্রিক অধিকার হরণের থেকে বড় রাজনৈতিক ও দেশবিরোধী কিছু হতেই পারে না, তোপ সোনিয়া কন্যার। একইসঙ্গে একটি ভিডিয়ো টুইটারে শেয়ার করেছেন। ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বিমানে রাহুল গান্ধীর কাছে অভিযোগ করছেন এক কাশ্মীরি মহিলা। বিজেপি পাল্টা দিয়েছে,  রাজনীতি করতেই এসেছিলেন রাহুলরা, তাই দেওয়া হয়নি উপত্যকায় প্রবেশের অনুমতি।



সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন জানিয়েছে শিবসেনা ও জেডিইউ। এদিকে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবার ইস্তফা দিলেন এক আইএএস অফিসার। সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন কান্নান গোপিনাথন। তাঁর অভিযোগ জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে।  অবশ্য,  তিনি মনে করেন ইস্তফার জেরে তেমন কোনও পরিবর্তনই হবে না। তবে, বিবেক বোধ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দাদরা ও নগর হাভেলির সচিব পদে ছিলেন কান্নান গোপিনাথন। আর এসবের মধ্যেই শ্রীনগরের সচিবালয়ে উড়ল জাতীয় পতাকা। রবিবারও পথঘাট ছিল শুনসান। ছিল কড়া নিরাপত্তা।


আরও পড়ুন- কাশ্মীর নিয়ে কোণঠাসা, এবার শাহরুখ খানকে নিশানা করলেন পাকসেনার মুখপাত্র