নিজস্ব প্রতিবেদন:  শতাব্দী প্রাচীন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে রাহুল গান্ধীর নাম আজ, সোমবারই ঘোষিত হতে চলেছে। আজই মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য শেষ দিন। এখনও পর্যন্ত রাহুল গান্ধী ছাড়া আর কোনও কংগ্রেস নেতা সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন পত্রই জমা দেননি। ফলে, রাহুলের পথ যে নিষ্কণ্টক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে পদ প্রাপ্তির চূড়ান্ত খবর জানানো হবে বলে খবর। কংগ্রেস সূত্রে আবার জানা যাচ্ছে, ১৬ ডিসেম্বর সনিয়া গান্ধী এই দায়িত্বভার তুলে দেবেন পুত্র রাহুল গান্ধীকে। সোমবার, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের (সিইএ) চেয়ারম্যান মুলাপল্লী রামচন্দ্রন এবং সিইএ-র সদস্য মধুসূদন মিস্ত্রি ও ভুবনেশ্বর কালিটা সাংবাদিক বৈঠক করে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করবেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- শিবভক্ত রাহুলকে সামলাতে বিজেপির অস্ত্র সেই 'রামভক্তি'


সনিয়া পুত্র যে সময় কংগ্রেসের সভাপতি পদের দায়ভার সামলাতে চলেছেন, সে সময় কংগ্রেস দেশের রাজনীতিতে রীতিমত বেকায়দায়। বিজেপির পাশাপাশি আঞ্চলিক দলের গুরুত্ব বাড়ায় কংগ্রেস বেশ কিছু রাজ্যে একেবারে ফিকে হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি ছাড়া মাত্র পাঁচটি রাজ্যে শিবরাত্রির সলতের মতো টিমটিম করছে ১৩২ বছরের কংগ্রেস। অন্যদিকে সভাপতি পদ পাওয়ার ঠিক দু'দিন পরেই গুজরাট এবং হিমাচলপ্রদেশের রায়। এখন পর্যন্ত যা ইঙ্গিত তাতে ২০১৯ লোকসভাকে মাথায় রেখে রাহুলকেই দলের প্রধান মুখ করে লড়বে কংগ্রেস এটা স্পষ্ট। তাই, কংগ্রেসের এই সভাপতি পদ রাহুলের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। পদ পেয়েই মোদীর রাজ্যে রাহুল তাঁর 'দুধের দাঁত' কতটা ফোঁটাতে পারবে, সেটাই এখন দেখার। 


আরও পড়ুন- সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন রাহুল, পারফরম্যান্স ছাড়াই প্রোমোশন কটাক্ষ বিজেপির