ওয়েব ডেস্ক: কংগ্রেস বিধায়কদের জন্য এবার কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন রাহুল গান্ধী। অধীর চৌধুরীকে তিনি জানিয়ে দিলেন, জোর করে কাউকে দলে ধরে রাখতে হবে না। ভোটে জেতার পর কেউ যদি দল বদল করতে চায় তাদের যেতে দিন। রাহুলের এই বার্তা বিধায়কদের পৌছে দিতে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসছেন অধীর চৌধুরী। এদিকে মানসা ভুঁইঞাকে সাসপেন্ড করার পথে এগোচ্ছে কংগ্রেস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোটে জেতার দুমাসের মধ্যেই ধাক্কা। ৪৪ থেকে কংগ্রেস হয়ে গেল ৪৩।  কংগ্রেসের অন্দরমহলে জোর চর্চা সংখ্যাটা আরও কমতে পারে। শুক্রবার এই চর্চার কথা রাহুল গান্ধিকে জানিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী এবং আব্দুল মান্নান। তাঁদের এমন অভিযোগ তৃণমূল না চাইতেই আগ বাড়িয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কিছু বিধায়ক।


আরও পড়ুন বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ বায়ুসেনার বিমানের তল্লাসি অভিযান সরেজমিনে দেখতে চেন্নাইয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী


সব শুনে রীতিমত বিরক্ত রাহুল গান্ধি। অধীরকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, জোর করে কাউকে দলে ধরে রাখতে হবে না। কেউ যদি দলবদল করতে চায় তাঁকে স্বাগত। দলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দলের নির্দেশ সবাইকে মেনে চলতে হবে। রাহুলের এই বার্তা পাওয়ার পর বিধায়কদের বৈঠক ডাকছেন অধীর চৌধুরী। ওই বৈঠকে রাহুলের বার্তা বিধায়কদের স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেবেন তিনি। একই সঙ্গে জেলা নেতৃত্বকেও জানিয়ে দেওয়া হবে তৃণমূলের সংশ্রব কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবে না দল।


কংগ্রেসের ঘর ভাঙা নতুন কোনও ঘটনা নয়। গতবারও প্রথম সারির বেশ কয়েক জন বিধায়ক যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। তবে এদের মধ্যে অজয় দে, অসিত মালের মত নেতারা কিন্তু ভোটে জিতে আসতে পারেননি। এটাকেই হাতিয়ার করতে চায় কংগ্রেস। একই সঙ্গে যাঁরা দল ছাড়বেন বিধায়ক পদ খারিজের দাবি নিয়ে আদালতে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে রবিবার রাহুলের নির্দেশ মত  মানস কে শোকজের চিঠি পাঠানো হচ্ছে। ৭দিন সময় দেওয়া হবে। এর মধ্যে পদত্যাগ না করলে তাঁকে সাসপেন্ড করবে কংগ্রেস। মানস ভুঁইঞাও বিভিন্ন মহলে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এআইসিসির সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফার কোনও প্রশ্ন নেই।


আরও পড়ুন জনজীবন স্বাভাবিক করতে দু দিনের কাশ্মীর সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং