বারো ব্রাহ্মণের মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে কুম্ভে পুণ্যস্নান করবেন রাহুল গান্ধী
জানা গিয়েছে, রাহুলের পুণ্যস্নানের তোড়জোড় এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ওইদিন হলুদ ধুতি ও হলুদ গামছা নিয়ে সঙ্গমে স্নান করতে নামবেন রাহুল। তিনি যখন ডুব দেবেন, তখন বারো জন ব্রাহ্মণ মন্ত্রোচ্চারণ করবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৭ সালের শেষে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে তাঁকে মন্দিরে-মন্দিরে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীকে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানেও একই কাজ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। এবার লোকসভা নির্বাচনেও তিনি একই রাস্তায় হাঁটতে পারেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কেন তাঁরা এমন মনে করছেন? কারণ, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কুম্ভমেলায় পুণ্যস্নান করবেন। কংগ্রেসের একটি সূত্র থেকে এই খবর জানা গিয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের কোনও একটি দিন তিনি কুম্ভমেলায় হাজির হবেন।
আরও পড়ুন: মহাজোটে বড় ভাঙন, চন্দ্রবাবুর হাত ছাড়লেন রাহুল
জানা গিয়েছে, রাহুলের পুণ্যস্নানের তোড়জোড় এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ওইদিন হলুদ ধুতি ও হলুদ গামছা নিয়ে সঙ্গমে স্নান করতে নামবেন রাহুল। তিনি যখন ডুব দেবেন, তখন বারো জন ব্রাহ্মণ মন্ত্রোচ্চারণ করবেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির অস্ত্রেই বিজেপিকে মাত করতে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই চেষ্টা করছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। হিন্দুত্বের হাওয়া তুলে এই প্রচার কাজে যে আসছে, তা মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে প্রমাণ মিলেছে। তাই এবার উত্তরপ্রদেশে একই কৌশল নিতে চান রাহুল।
আরও পড়ুন: রাহুলকে ইতালি ফিরে যেতে বললেন আমেঠির ক্ষুব্ধ কৃষকরা
কারণ, ওই রাজ্যে ২৪ শতাংশ উচ্চবর্ণের ভোটার রয়েছে। তাঁদের কাছে টানতে পারলে কংগ্রেসের অ্যান্টি-হিন্দু তকমা অনেকটাই সরানো সম্ভব হবে। এই প্রয়াস উচ্চবর্ণের ভোটারদের কাছে টানতে অনেকটাই সাহা্য্য করবে বলেও মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
প্রসঙ্গত, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় সোমনাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি অ-হিন্দুদের রেজিস্ট্রারে নিজের নাম লেখেন। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে সেই বিতর্কে জল ঢেলে জানিয়ে দেওয়া হয় রাহুল পৈতেধারী ব্রাহ্মণ।
আরও পড়ুন: যোগ্য বলেই কংগ্রেসে পদ পেলেন প্রিয়ঙ্কা, জানালেন সভাপতি রাহুল
মধ্যপ্রদেশে ভোট প্রচারের সময় রাহুল নিজেকে কৌল ব্রাহ্মণ ও দত্তাত্রেয় গোত্রের বলে জানিয়েছিলেন। ফলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, কুম্ভমেলায় ডুব দেওয়ার সময় স্পষ্ট হবে রাহুল গান্ধী সত্যিই পৈতেধারী ব্রাহ্মণ কি না।