ওয়েব ডেস্ক: আগামী কাল রেল বাজেট। তবে সম্ভবত ভাড়া বা মাসুল বৃদ্ধির পথে হাঁটবেন না রেল মন্ত্রী। রেলের গতি বাড়াতে ঘুর পথে আয় বৃদ্ধির পথেই হাঁটবেন তিনি। একদিকে  কোষাগারে ঘাটতি। অন্যদিকে  কমছে যাত্রী ও  আর পণ্য পরিবহণ। এই দুইয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে  বৃহস্পতিবার রেল বাজেট পেশ করতে চলেছেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। অপারেটিং  রেশিও সাতানব্বই শতাংশে পৌছেছে। অর্থাত্ একশ টাকা আয় করতে রেলের খরচ হচ্ছে সাতানব্বই টাকা। হাতে যে তিন টাকা থাকছে তার থেকেই তৈরি করতে হবে নয়া প্রকল্প। সেখান থেকেই টাকা আসবে সংস্কারেরও। প্রশ্ন উঠছেএই সামান্য অর্থে তা সম্ভব কী ভবাবে? আর এর থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, ধুঁকছে ভারতীয় রেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত কয়েক বছরে  উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে রেলের পণ্য মাশুল ও ও যাত্রী ভাড়া বাবদ আয়। এপ্রিল থেকে জানুয়ারির মধ্যে পণ্য পরিবহণে  চার শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। গত কয়েক বছরে গড়ে  কমেছে যাত্রীর সংখ্যা সাত থেকে আট কোটি। এর সঙ্গে আছে ৩০ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকির বোঝা।  উপরন্তু সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশে আরও বত্রিশ হাজার কোটি টাকা বেশি খরচ হবে। প্রশ্ন উঠছে এত টাকা আসবে কোথা থেকে? রেলের আয়ের  প্রায় ছেষট্টি  শতাংশ আসে পণ্য মাসুল থেকে। ২৪ শতাংশ আসে যাত্রী ভাড়া থেকে। তাহলে কী ভাড়া বাড়িয়ে রেলকে আয়ের মুখ দেখাতে চাইবেন  সুরেশ প্রভু। বিশেষজ্ঞদের মতে সে পথে হাঁটবেন না রেল মন্ত্রী। একদিকে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। অন্য দিকে  বিশ্ববাজারে কমতে থাকা ডিজেলের দাম। দুইয়ের দিকে নজর রেখে সম্ভবত এ মুহূর্তে বাড়ানো হবে না রেল ভাড়া বা পণ্য মাসুল।


তাহলে টাকা আসবে কোথা থেকে সেক্ষেত্রে অপ্রচলিত পথে আয় বাড়ানোর পথে হাঁটবেন রেল মন্ত্রী। PPP  মডেল কার্যকর, রেলের বাণিজ্যিকীকরণ,  বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাড়ানো হবে আয়।
কী চমক থাকবে বাজেটে? গত বারের মতো এবারও নতুন ট্রেন ঘোষণার পথে না যেতে পারেন প্রভু। গতিমান এক্সপ্রসের ঘোষণা। কাপুরথালায় ইতিমধ্যে ২০০ কিমি বেগে চলতে পারে এমন ট্রেনের চারটি কামরা তৈরি হয়ে গিয়েছে। জুনের মধ্যে কুড়িটি  কামরা তৈরির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। শহরতলিতে এসি  লোকাল ট্রেন চালুর মতো পরিকল্পনা ঘোষণা করতে পারেন রেল মন্ত্রী।  শুরু হবে মুম্বই থেকে। পরে আরও পাঁচটি জোনে চালানো হতে পারে এসি লোকাল। এর পাশাপাশি যাত্রী সুরক্ষা, স্বচ্ছ ভারত মিশন ও যাত্রী পরিষেবায় বাড়তি  গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।