নিজস্ব প্রতিবেদন- লকডাউনের সময় কজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে কোনও তথ্য সরকারের কাছে নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গওয়াড় পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, এই ব্যাপার কোনও তথ্য নেই শ্রম মন্ত্রকের কাছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাজ্যমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি দাবি করেছিলেন, লকডাউনের সময় ফেক নিউজ-এর জন্যই শ্রমিকরা উদভ্রান্তের মতো বাড়ি ফেরার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন। আর তাতেই ঘটে একের পর এক দুর্ঘটনা। আর এবার আরও এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রমিকদের অসহায় অবস্থার জন্য দায় ঝাড়লেন। তিনি রেল মন্ত্রী। শ্রমিকদের জন্য তিনি কোনও সহমর্মিতা দেখালেন না। উল্টে সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে পাঠাতে গিয়ে রেলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ মালা রায় ও প্রসূন বন্দ্যেপাধ্যায় লকডাউনের সময় শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো নিয়ে সওয়াল করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রেল মন্ত্রী পীযূশ গোয়েল জানান, মে থেকে অগাস্ট পর্যন্ত একের পর এক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে রেলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যদিও তিনি ক্ষতির পরিমাণ জানাননি। লকডাউনে অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কাজ ছিল না। হাতের টাকা শেষ। এমন অবস্থায় বিদেশে পড়ে থাকতে চাননি কেউই। তাই যে যার মতো বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। কেউ সাইকেলে, কেউ আবার পায়ে হেঁটে হাজার হাজার মাইল রাস্তা পেরিয়েছেন। কোনও শ্রমিক রাস্তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন। কাউকে লরি পিষে দিয়েছে। কাউকে আবার পিষে দিয়েছিল ট্রেনের চাকা।


অসহায় শ্রমিকদের দেরি করে হলেও ঘরে ফিরিয়েছে রেল। আধুনিক ভারত গড়ে যে শ্রমিকরা, তাঁদের এই দুঃসময় বাড়ি পৌঁছে দিয়ে রেল মন্ত্রী ক্ষতির প্রসঙ্গ তুললেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার পর কি রেল মন্ত্রক ক্ষতির হিসাব করতে বসেছে! প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার শ্রম মন্ত্রককে ব্যঙ্গ করে বলেছেন, শ্রমিকদের কথা জানতে হলে সোনু সুদের কাছে যাওয়া উচিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের।