নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্ঘটনার পরই অমৃতসরের স্টেশন মাস্টারকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন বলে দাবি করলেন জলন্ধর-অমৃতসর ডিএমইউ প্যাসেঞ্জারের চালক। শুক্রবার সন্ধে ৭টা নাগাদ অমৃতসরের ধোবি ঘাট এলাকায় রেললাইনের উপরে বসে রাবণ দহন দেখছিলেন কমপক্ষে শ’খানেক মানুষ। ওই সময় ঘণ্টায় প্রায় ৬৭ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছিল ট্রেনটি। রাবণ পোড়ানোর কান ফাটানো বাজির আওয়াজ এবং আলোয় কারওরই হুঁশ ছিল না। তবে, চালক প্রাথমিকভাবে দাবি করেছেন, গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া ছিল। তিনি বুঝতেই পারেননি, লাইনের উপর বসে রয়েছে কয়েক’শো মানুষ। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের গতি কমিয়ে ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে রেলের তরফে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- গাফলতি ছিলই; ঘাতক ট্রেনটি হর্ন-ই দেয়নি, অমৃতসরের দুর্ঘটনায় দাবি সিধুর


রেলের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, জোড়া ফটকের কাছে ধোবি ঘাটের দশেরা অনুষ্ঠান বিষয়ে অবগত ছিল না রেল। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বীনি লোহানি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে অমৃতসর এবং মানাওয়ালা স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায়। মধ্যবর্তী জায়গায় ট্রেনের যতটা গতি রাখা হয়, সেই গতিতেই ট্রেনটি চলছিল। রেল কর্তার অভিযোগ, লাইনের উপর এভাবে বসে থাকাটা অভিপ্রেত নয়। এমন জায়গায় রেলের কোনও কর্মী নিযুক্ত থাকে না। লেভেল-ক্রসিংয়ে একমাত্র দেখভাল করে রেলের কর্মী।


রেলের গাফলতির অভিযোগ উড়িয়ে অশ্বীনি লোহানি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ মিটার দূরে নিকটবর্তী রেল ক্রসিং। ট্রেনের চালক জরুরীকালীন ব্রেক কষলে আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতে পারত। অশ্বীনি দাবি করেছেন, ঘটনার সময় চালক ব্রেক কষে ট্রেনের গতি অনেকটাই কম করার চেষ্টা করেছিলেন।


আরও পড়ুন- বাজির তীব্র আওয়াজে চাপা পড়ে যায় ট্রেনের শব্দ, অমৃতসরের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০


রেল ঘটনার দায় ওড়ালেও মানতে রাজি নন স্থানীয়রা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ২০ বছর ধরে জোড়া ফটক এলাকায় রাবণ দহন হচ্ছে। শুক্রবারের মতো এত মানুষের সমাগম হয় প্রতি বছর। তবে, ৫০ বছর বয়সী যশবন্ত নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাবণ পোড়ানোর প্রচণ্ড কোলাহলে ট্রেনের হর্নের আওয়াজ শোনা যায়নি।