নিজস্ব প্রতিবেদন: পারফরম্যান্স নেই। অথচ মাসের শেষে বেতন নিয়ে চলেছেন। এমন দিনের সম্ভবত অবসান হতে চলেছে। প্রায় ৩ লক্ষ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। কর্মীদের কাজের পর্যালোচনার নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে জোনাল প্রধানদের কাছে। এর জেরে ৫৫ বছরের বেশি বয়সী কাজ চাকরি খোয়ানোর সম্ভাবনা বেশি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রেলের বিভিন্ন শাখায় বর্তমানে কাজ করেন প্রায় ১৪ লক্ষ কর্মী। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মী রয়েছে সংস্থার। কর্মী সংখ্যা কমিয়ে ১০ লক্ষের কাছাকাছি আনতে চাইছে রেলমন্ত্রক। কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য ইতিমধ্যেই প্রতিটি শাখার ম্যানেজারের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে রেল। কী রয়েছে তাতে? 



২০২০ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে রেলে যাঁরা ৩০ বছর ধরে কাজ করছেন, তেমন কর্মীদের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এর ফলে ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ৫৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের কর্মীদের।  


সব কর্মীদের কাজের পর্যালোচনা করতে হবে। তৈরি করতে হবে সার্ভিস রেকর্ড। 


শারীরিক, মানসিক, অফিসে উপস্থিতির হার ও শৃঙ্খলা মাপকাটি করে কাজের পর্যালোচনা করতে হবে জোনাল ম্যানেজারদের।


রেলের এক অফিসারের দাবি, কর্মীদের পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখা যাবে। কাজের মান ঠিক না হলে অবসরের ব্যবস্থাও রয়েছে। এটা রুটিন প্রক্রিয়া।


বাজেটে রেলের জন্য চলতি অর্থবর্ষে বরাদ্দ করা হয়েছে ৬৫,৮৩৭ কোটি টাকা। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন বা মূলধনী ব্যয়ে বরাদ্দ হয়েছে ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা। গতবছর তা ছিল ১.৪৮ লক্ষ কোটি। এবং বরাদ্দ ছিল ৫৫,০৮৮ কোটি টাকা। নতুন লাইন নির্মাণে ৭২৫৫ কোটি, গেজ বদলে ২২০০ কোটি, ডাবলিংয়ে ৭০০ কোটি, রোলিং স্টকে ৬১১৪.৮২ কোটি, সিগন্যালিং ও টেলিকমে ১৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বাজেটে।  


অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বাজেট ভাষণে বলেছিলেন, ২০১৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নে দরকার ৫০ লক্ষ কোটির বিনিয়োগ। দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বে (পিপিপি) কাজ করা হবে।


আরও পড়ুন- মধ্যযুগীয় প্রথা তিন তালাক ইতিহাসের ডাস্টবিনে, তোষণের নামে বঞ্চনা হয়েছে: মোদী