নিজস্ব প্রতিবেদন- ১৭ মার্চ থেকে দেশে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল বন্ধ। প্রায় সাত মাস হয়ে গিয়েছে স্বাভাবিকভাবে সারা দেশে ট্রেনের চাকা গড়াচ্ছে না। তবে করোনা পরিস্থিতিতে বেশ কিছু রুটে স্পেশাল ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করেছে রেল। ইতিমধ্যে পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন পেয়েছে বাংলা। উৎসবের মরসুম দোরগোড়ায়। এই সময় ছুটি থাকায় প্রচুর মানুষ পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ঘুরতে যান। ফলে অক্টোবর মাসে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এবার অবশ্য পরিস্থিতি আলাদা। ঘোরাঘুরির বিশেষ সুযোগ নেই। তবে খুব প্রয়োজনে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পৌঁছাতেও মানুষকে সড়কপথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। ফলে খরচ হচ্ছে অনেক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ট্রেন চলাচল কবে থেকে স্বাভাবিক হবে, তা এখনও পরিষ্কার করে জানাচ্ছে না ভারতীয় রেল। এরই মধ্যে সাধারণ মানুষ দাবি তুলেছেন, একের পর এক আনলক পর্বে সবই যখন খুলে দেওয়া হচ্ছে ,তাহলে লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে না কেন! লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায় একগাদা টাকা খরচ করে শহরতলির মানুষকে শহরে কাজে যেতে হচ্ছে। কতদিন আর এভাবে চলবে! তবে উৎসবের মরসুমে এবার সারা দেশে ২০০ টি স্পেশাল ট্রেন চালাবে বলে জানাল ভারতীয় রেল। ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই স্পেশাল ট্রেনগুলি চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিইও ভিকে প্রসাদ অবশ্য ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন, এখন ২০০টি স্পেশাল ট্রেন চালানোর কথা বলা হলেও সংখ্যাটা বাড়তে পারে। রেলের কর্তারা এই নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছেন।


আরও পড়ুন-  মধ্যবিত্তের জন্য বড় খবর, অক্টোবরে বরাদ্দ গ্যাসের নতুন দাম, কলকাতায় কত?


ভিকে প্রসাদ বলেছেন, ''আমরা জেনারেল ম্যানেজারদের সঙ্গে বৈঠক করছি। প্রতিটি অঞ্চলের করোনা সংক্রমনের পরিস্থিতি আগে বুঝতে হবে। জেনারেল ম্যানেজাররা রিপোর্ট পেশ করছেন। তার ওপর ভিত্তি করে আমরা রুট নির্বাচন করব। কোন অঞ্চলে ট্রেনের চাহিদা কেমন এবং সেখানকার করোনা পরিস্থিতি এখন ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, আপাতত এই দুটি বিষয় প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আমরা ক্লোন ট্রেনের ব্যবস্থা করব। সফটওয়্যার-এর সাহায্য নিয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করা হবে। সেখানে দেখে নেওয়া হবে কোন অঞ্চলের ট্রেনের চাহিদা সব থেকে বেশি। সেইসব অঞ্চলে একাধিক ক্লোন ট্রেন চালানোর ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা হবে।''