নিজস্ব প্রতিবেদন: আস্থা ভোট নয়, এবার বিধানসভা অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব দিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছে এক প্রস্তাব পাঠিয়ে গেহলট জানিয়েছেন, বিধানসভার অধিবেশন ডাকা যেতে পারে ৩১ জুলাই থেকে। ওই অধিবেশনে কোভিড-সহ একাধিক পড়ে থাকা বিল নিয়ে আলোচনা হবে। প্রস্তাবটি ভেবে দেখার কথা জানিয়েছেন কলরাজ মিশ্র।


কেন আস্থা ভোট থেকে সরে আসতে চাইছেন গেহলট?


 রাজনৈতিক মহলের ধারনা, আস্থা ভোটে জিতলেও অশোক গেহলট  স্বস্তিতে থাকতে পারবেন ৬ মাস। এখন আস্থা ভোট হলে সচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামী ১৮ বিধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন। এরপর তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হলেও তাদের ভোট গোনা হবে।


আরও পড়ুন-দু'দিনে প্রায় এক লাখ আক্রান্ত দেশে, এক দিনে করোনা জয় ৩৬ হাজার


উল্লেখ্য, আস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। এনিয়ে শুক্রবার রাজ্যপালের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। গেহলট শিবিরের বক্তব্য ছিল, আস্থা ভোট আটকে দেওয়া আসলে বিজেপির ষড়যন্ত্র।  গেহলট বলেন, চাপে পড়ে এসব করছেন রাজ্যপাল।


রাজস্থানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দেশজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর তোড়জোড় করছে কংগ্রেস। এমনকি রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে কংগ্রেসের তরফে।


রাজস্থানে সরকার ফেলার জন্য বিজেপি ষড়যন্ত্র করছে।  গণতন্ত্র বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে আজ একটি ভিডিয়ো টুইট করেছেন রাহুল গান্ধী।


প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজস্থান হাইকোর্টের রায়ে কিছুটা স্বস্তি পান সচিন পাইলট। এদিন আদালতের তরফে বলা হয়, বিধানসভার স্পিকার সচিন ও তাঁর অনুগামী কংগ্রেস বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেন না। যদি তা নিতে হয় তাহলে স্পিকারের সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা প্রথমে ঠিক করতে হবে।


আরও পড়ুন-'কার্গিলে পেছন থেকে ছুরি মেরেছিল পাকিস্তান; যোগ্য জবাব দিয়েছিল আমাদের সেনা'


ওই রায়েই ধাক্কা খায় গেহলট শিবির। কারণ সচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামীদের বিধায়কপদ খারিজের নোটিস দিয়েছিলেন স্পিকার সিপি যোশী।


এদিকে, বিধায়ক পদ খারিজের ক্ষেত্রে স্পিকারের ক্ষমতা কতটা তা হাইকোর্ট ঠিক করতে পারে কিনা তা নিয়ে সোমবার মামলা উঠবে সুপ্রিম কোর্টে। ফলে গোটা বিষয়টাই এখন জটিল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে।