Rajasthan Political Crisis: রাজস্থানে মরুঝড়! পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হলেই ইস্তফা, হুমকি ৯০ কংগ্রেস বিধায়কের
রাজস্থান কংগ্রেস সূত্রে খবর, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হলে তিনি যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি তা সোনিয়াকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তাঁর আর্জি তাঁর শিবিরের কাউকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করা হোক
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া থেকে যে কোনও উপায়ে ঠেকাতে হবে সচিন পাইলটকে। কংগ্রেস হাইকমান্ডের উপরে পাহাড়প্রমাণ চাপ সৃষ্টি করতে ইস্তফা দিতে তৈরি গেহলট শিবিরের ৯০ এর বেশি বিধায়ক। এনিয়ে রাজস্থানে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক টানাপোড়েন। কংগ্রেসের ওইসব বিধায়ক সংবাদমাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছেন ইস্তফা দিতে। গেহলট ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস বিধায়ক প্রতাপ সিং কাচারিওয়াস সংবাদমাধ্যমে সাফ বলে দিয়েছেন, রাজস্থান কংগ্রেসের ১০-১৫ বিধায়কের কথাই শুনেছে হাইকমান্ড। বাকীদের পাত্তাই দেওয়া হচ্ছে না। দল আমাদের কথা না শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছে।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপের আগেই হুডাকে নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনাল বিসিসিআই
কেন এমন সংকট? অক্টোবর মাসে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হতে চলেছে। সেই নির্বাচনে লড়াই করছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। প্রতিপক্ষ শশী থারুর। এখন প্রশ্ন উঠেছে অশোক গেহলট কংগ্রেসের সভাপতি হলে কি তিনি আর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন? এক ব্যক্তির দুটি পদে থাকা যে উচিত নয় তা একপ্রকার জানিয়েই দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। কেরালায় ভারত জাগাও যাত্রায় গিয়ে রাহুল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দলের উদয়পুর চিন্তন শিবিরে ঠিক হয়েছিল এক ব্যক্তি একই পদে থাকতে পারবেন। সেই কথা যেন মনে থাকে। বলা যেতে পারে রাহুলের ওই মন্তব্যরের পরই রাজস্থানে দলের অন্দরে হইচই শুরু হয়ে যায়। কারণ গেহলট কংগ্রেসের সভাপতি পদে জয়ী হলে তাঁকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হবে। আর তাতে সচিন পাইলটের মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসার রাস্তা অনকেটাই সাফ হয়ে যাবে। সেই জায়গাতেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেসের গেহলট ঘনিষ্ঠ বিধায়করা। তাঁদের দাবি, ২০২০ সালে গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন সচিন ঘনিষ্ঠ বিধায়করা। সেবার যারা গেহলটকে বাঁচিয়েছিলেন তাদের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হোক। সচিন পাইলট কোনও মতেই নন।
রাজস্থান কংগ্রেস সূত্রে খবর, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হলে তিনি যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি তা সোনিয়াকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তাঁর আর্জি তাঁর শিবিরের কাউকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। এখন তা না করে সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এমনটা টের পেয়েই তাঁদের ক্ষমতা প্রদর্শন করা শুরু করলেন গেহলটপন্থী বিধায়করা।
গোটা সমস্যা নিয়ে আজ বৈঠকে বসেন গেহলটপন্থী কংগ্রেস বিধায়করা। ওই বৈঠকে থাকা নির্দল বিধায়ক শ্যাম লোধা সংবাদমাধ্যমে বলেন, কংগ্রেস বিধায়কদের কথা যদি হাইকমান্ড না শোনে তাহলে সরকার চলবে কীভাবে? সরকার পড়ে যাবে।