জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজস্থানে চলতে থাকা সংকট এবং ৯২ জন বিধায়কের পদত্যাগের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত এবং স্পিকার সিপি জোশীর নীরবতা এই সকটকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। রাজস্থান রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এর মধ্যেই। সবার দৃষ্টি রয়েছে রাজভবনের দিকে। অন্যদিকে 'ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ' কৌশল নিয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতার বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশীর পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছে। এর পরেই তাঁরা রাজভবনের দরজায় কড়া নাড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপির রাজস্থানের রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি রওনা হয়েছেন। রাজস্থানের রাজনীতি নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সেখানে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাজেন্দ্র রাঠোড়


এদিকে, বিধানসভায় বিরোধী উপনেতা রাজেন্দ্র রাঠোড় বলেছেন যে যখন সরকারের ৯০ শতাংশ বিধায়ক এবং মন্ত্রী ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রীর জরুরি বৈঠক ডেকে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করা উচিত। তিনি আরও বলেন, বিজেপি পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। সোমবার, বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং বিরোধী দলের উপনেতা উভয়েই জোর দিয়ে বলেন যে স্পিকারের উচিত দলের বিধায়কদের দেওয়া পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা।


শচীন পাইলটের জন্য বিজেপির দরজা বন্ধ নয়


বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া বলেছেন, কংগ্রেস বিধায়করা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশীর এটা মেনে নেওয়া উচিত। কেন রাজ্যের জনগণ কংগ্রেসের বিরোধের খেসারত বহন করবে। পাইলট সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, শচীন পাইলটের জন্য বিজেপির দরজা বন্ধ নয়। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলীয় হাইকমান্ড। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে দলীয় হাইকমান্ড এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।


পড়ুন আমাদের উৎসব স্পেশাল ই-ম্যাগাজিন


অন্যদিকে, বিরোধী দলের উপনেতা রাজেন্দ্র রাঠোর বলেছেন, ‘বল এখনও স্পিকারের কোর্টে। তাঁর সামনেই ইস্তফা দেন কংগ্রেস বিধায়করা। বিধানসভার স্পিকার সেই পদত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলেই বিজেপি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। কংগ্রেসে ক্ষমতার লড়াইয়ের খেলা আমরা সবাই দেখছি। তিনি পাইলটের প্রশংসা করে বলেন, গত দেড় বছর ধরে কোনও মিথ্যা বিবৃতি না দেওয়ায় আমি তার (পাইলট) প্রশংসা করব। তাকে 'নিকম্মা', 'নাগারা', 'জয়চাঁদ' বলা হলেও, তিনি ধৈর্য ধরে রেখেছেন’।