নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যত্ নিয়ে যাবতীয় জল্পনার অবসান করলেন রজনীকান্ত। রবিবার থালাইভার জানিয়েদিলেন, নতুন দল গড়বেন তিনি। ২০২১ সালের নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ২৩৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে রজনীর নতুন দল। রজনীকান্তের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কি বিজেপির মস্তিষ্ক রয়েছে, প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তামিল সুপারস্টার বলেন, ''আমি পদের লোভে রাজনীতিতে আসতে চাই না। চাইলে ১৯৯৬ সালেই আমি পদ পেতাম। ৪৫ বছরেই যা করিনি, ৬৮ বছর বয়সে কেন করতে যাব?'' তাঁর কথায়, ''গোটা ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। গণতন্ত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করাই আমার লক্ষ্য। আগে রাজা বা শাসকশ্রেণি অন্যদেশে লুঠপাট চালাত। এখন নিজের দেশই লুঠছে শাসকরা।''





আরও পড়ুন- গুজরাটে সঙ্কটে বিজেপি, দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিন পটেলের


২০১৯ সালের লোকসভায় কি প্রার্থী হবেন রজনীকান্ত? সুপারস্টারের জবাব, ''এটা ছবি নয়, রাজনীতি। আমাদের পাড়ায় পাড়ায় আগে ছড়িয়ে পড়তে হবে।''       


রজনীকান্ত রাজনীতিতে আসার ঘোষণা করার পরই জল্পনা শুরু হয়েছিল। তামিল সুপারস্টারের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। রজনীর বন্ধু তথা আর এক সুপারস্টাক কমল হাসান ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন রজনীকান্ত। সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন থালাইভার নিজেই। 


আরও পড়ুন- ১,২০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার শঙ্করাচার্য পদে বসতে পারেন সাধ্বী


রাজনৈতিক মহলের মতে, বিষয়টি এমন সহজ নয়। সরাসরি বিজেপিতে যোগদান না করিয়ে রজনীকে নতুন দল গঠনে সহযোগিতা করতে পারে বিজেপি। ভোটের আগে জোট করে সেই রাজ্যে ক্ষমতা দখলের ছক কষতে পারে তারা। দক্ষিণি রাজ্যে দ্রাবিড় জাতিসত্ত্বার কাছে ব্রাত্য 'গোবলয়ের হিন্দিভাষী' দল বিজেপি। সদ্য আরকে নগর উপনির্বাচনে নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়েছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে তামিল জনমানসে জনপ্রিয় মুখকে সামনে রেখে ঘুঁটি সাজাতে পারেন অমিত শাহ, মত অনেকেরই।