নিজস্ব প্রতিবেদন: শিলচর বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল আচরণ করেছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর কথায়, আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছিল। রাজনাথের জবাব অবশ্য খুশি করতে পারেনি তৃণমূলকে। এদিন সংসদের উভয়কক্ষে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 অসমে নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই বৃহস্পতিবার শিলচরে যায় তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। ওই দলে ছিলেন সাংসদ, বিধায়ক মিলিয়ে ৮ তৃণমূল নেতা। তাঁদের শিলচর বিমানবন্দরের বাইরে পা ফেলতে দেয়নি অসম পুলিস। তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। পাল্টা অসম পুলিস দাবি করে, তাঁদের দুজন মহিলা কনস্টেবল ও এক পুলিস কর্মীকে শারীরিক হেনস্থা করেন তৃণমূলের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র। 


এদিন বিষয়টি নিয়ে লোকসভায় সরব হন তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''দেশের যে কোনও প্রান্তে যাওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের। শিলচরে কোনও সভা হবে না বলে অসম পুলিসকে জানিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তা সত্ত্বেও তাঁদের আটক করা হয়।'' তার জবাবে রাজনাথ সিং বলেন, ''গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করেছে অসম সরকার। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় শিলচর বিমানবন্দরে তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কদের আটক করে পুলিস''। 


রাজনাথ আরও বলেন, শিলচর থেকে ফিরতি বিমান ছিল না, তাই তাঁদের রাত্রিবাস করতে হয়েছিল শিলচরের অতিথি নিবাসে। করজোড়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন জেলাশাসক। সরকারি কর্মীদের সঙ্গে তাঁরা যে ব্যবহার করেছেন, সেটাই ফেরত পেয়েছেন। তবে কোনও আবেদনে কাজ হয়নি। তবে রাজনাথের জবাব সন্তোষজনক নয় বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন লোকসভা ও রাজ্যসভায় দলের নেতাদের হেনস্থার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা। রাজনাথের বিবৃতির প্রেক্ষিতে আগামী পদক্ষেপ এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি। সূত্রের খবর, সপ্তাহান্তে দলনেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এটা নিশ্চিত, শিলচর-কাণ্ডের জল বহুদূর গড়াতে চলেছে। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।              


বিজেপি সাংসদ বিজয় চক্রবর্তীর মন্তব্য করেন, অসমে হিংসা ও উত্তেজনা ছড়াতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ ও  রক্তগঙ্গা বইতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর চেয়ে ভয়ঙ্কর কিছু হয় না। 


আরও পড়ুন- অসমের নাগরিকপঞ্জির প্রশংসা করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের 'ঘর ওয়াপসি'র দাবি শিবসেনার