নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের ওয়াক আউট কংগ্রেসের। ফের রাজ্যসভায় বিল পাশ বিজেপির। সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও। মঙ্গলবার এসপিজি সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গেল রাজ্যসভায়। এ দিন এই বিল নিয়ে আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানান, গান্ধী পরিবারের ৩ সদস্য-সহ ১৩০ কোটি নাগরিকের সুরক্ষা মোদী সরকারের। বিরোধীদের অভিযোগ, গান্ধী পরিবারের এসপিজি সুরক্ষা হটাতেই এই বিল আনা হচ্ছে। এই যুক্তিও খণ্ডন করে অমিত শাহ জানান, এর আগে চার-চার বার এসপিজি আইন সংশোধনী হয়েছে। গন্ধী পরিবারকে মাথায় রেখেই ওই সংশোধনী করা হয়েছিল। কিন্তু এবার শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষাবলয়কে মাথায় রাখা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে, নরেন্দ্র মোদী যে এসপিজি-র ভরপুর সুবিধা পাবেন এমনটা নয়। এ দিন বারবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটা কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন, পাঁচ বছর পর মোদীরও এসপিজি সুরক্ষা তুলে নেওয়া হবে। যদি এমন পরিস্থিতি আসে তো...। বিরোধীদের তত্ক্ষণাত্ কটাক্ষ, এমন পরিস্থিতি আসতে পারে বলছেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, প্রধানমন্ত্রী পদে যেই থাকুন, পাঁচ বছর তিনি এবং তাঁর পরিবার সুরক্ষা পাবেন। তারপর মেয়াদ ফুরোলে, এসিপিজি-র সুবিধা আর পাওয়া যাবে না।


তবে, এই বিলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল গান্ধী পরিবারকেই নিয়ে। অমিত শাহ জানান, গণতন্ত্রের আইন সবার জন্য। একটি পরিবারের জন্য নয়। পাশাপাশি শাহ এ-ও বলেন, পরিবারের বিরোধিতা করছি না, পরিবারতন্ত্রের বিরোধিতা করা হচ্ছে। প্রশ্ন তোলেন, সম্প্রতি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের এসপিজি প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস গান্ধী পরিবারকে নিয়েই সরব কেন? কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজ়াদ বলেন, মনমোহন সিংয়ের এসপিজি প্রত্যাহার নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তত্ক্ষণাত্ অমিতের কটাক্ষ, ওটা নিয়মরক্ষা। নিয়মরক্ষা আর বিরোধিতার মধ্যে তফাত্ আছে।



আরও পড়ুন- প্রিয়ঙ্কার নিরাপত্তার প্রশ্নে ‘কাকতালীয়’ বলে ব্যাখ্যা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ


এ দিন রাজ্যসভায় অমিত শাহ স্পষ্ট করেন, গান্ধী পরিবারের উপর সুরক্ষা সরানো হয়নি। পরিবর্তন করা হয়েছে। এসপিজি-র পরিবর্তে জেড প্লাস সিআরপিএফ সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রীর পর দেশের শক্তিশালী সুরক্ষাবলয়। এসপিজি-র মতোই বিভিন্ন সেক্টরের জওয়ানরা সুরক্ষা দিয়ে থাকেন। বিচারপতি ভার্মা কমিটির রিপোর্ট উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিচারপতি ভার্মা কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা না করে রাজীব গান্ধীর এসপিজি সরানো হয়। কিন্তু গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।