ওয়েব ডেস্ক: সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন)-এর অস্থায়ী প্রধান হলেন গুজরাট ক্যাডারের অফিসার রাকেশ আস্থানা। আজই শেষ কর্মদিবস ছিল সিবিআই ডিরেক্টর অনিল সিনহার। সিবিআই-এর গত দশ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এবং সামগ্রকিক ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের জন্য কোনও অস্থায়ী অফিসারকে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটির শীর্ষপদে বসানো হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আমলা মহলে জোর গুঞ্জন, রাকেশ আস্থানার প্রতি 'বিশেষ আস্থাশীল' কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাই সিবিআই-এর কার্জত দু'নম্বর তথা স্পেশাল ডিরেক্টর আরকে দত্তকে রাতারাতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি পদে বদলি করে দিয়ে তুলে নিয়ে আসা হয় অতিরিক্ত ডিরেক্টর আস্থানাকে। এমনও জানা যাচ্ছে যে, অনিল সিনহার উত্তরসুরি বাছার জন্য ছয় অফিসারের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল তাতেও ঠাঁই মেলেনি ১৯৮৪ ব্যাচের আইপিএস আস্থানার।


আরও পড়ুন- হিসাব বহির্ভূত আয়ের জন্য ধার্য কর দেওয়ার আগেই উধাও ব্যবসায়ী


রাকেশ আস্থানা এই মুহূর্তে আগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চপার চুক্তি এবং বিজয় মালিয়ার মামলার মতো একাধিক কেসের দায়িত্বে ছিলেন। এখন নতুন দায়িত্বের পাশাপাশি এই মামলাগুলির দেখভালও তাঁকেই করতে হবে।


এদিকে, আর কে দত্ত আবার কয়লা ব্লক বন্টন ও টু-জি স্পেকট্রামের মতো হাই প্রোফাইল কেস তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। ফলে তাঁকে তাঁর এই গুরু দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য পদে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ, এক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে যেখানে বলা আছে যে, দুটি কেসের সঙ্গে যুক্ত কোনও অফিসারকে তাঁর পদ থেকে সরানো যাবে না। যদিও কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে আর কে দত্ত দুটি তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন না, তাই তাঁকে সরানো হয়েছে।


আরও পড়ুন- নতুন গাড়ির বাজারে প্রভাব ফেলতে পারল না নোট বাতিল


উল্লেখ্য, সিবিআই প্রাধান নির্বাচনের প্যানেলে থাকেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও স্থায়ী প্রধান এখন নির্বাচিত করেনি এই প্যানেল।