প্রয়াত দুঁদে আইনজীবী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রাম জেঠমালানি
দীর্ঘ ৬ দশক ধরে সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় আইনজীবীর ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রয়াত রাম জেঠমালানি। রবিবার সকালে দিল্লিতে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে আইনমন্ত্রী হন জেঠমালানি। দীর্ঘ ৬ দশক ধরে সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় আইনজীবীর ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-ইসরোর চন্দ্রাভিযানে আমরা উজ্জীবিত, মহাকাশ গবেষণায় একসঙ্গে কাজ করতে চাই: নাসা
হর্ষদ মেহতা দুর্নীতি মামলা, আফজল গুরুর ফাঁসির আদেশ, জেসিকা লাল হত্যাকাণ্ড সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় আইনজ্ঞের ছাপ রেখেছেন তিনি। রাজীব গান্ধী হত্যা মামলাতেও তিনি অভিযুক্তদের হয়ে সওয়াল করেন।
২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোনিত হন তিনি। আইনজীবা ছাড়াও রাজনীতিবিদ হিসেবেও নিজের দক্ষতার পরিচয় রেখেছিলেন জেঠমালানি। ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম লোকসভার সদস্য হন।
১৯২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তত্কালীন বোম্বে প্রেসিডেন্সির শিখরপুরে জন্মগ্রহণ করেন জেঠমালানি। ছোট থেকেই তুখোর ছিলেন রাম জেঠমালানি। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ম্যাট্রিকুলেশন ও ১৭ বছরেই বোম্বে ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
আরও পড়ুন-চন্দ্রযান ২-এর জন্য ইসরোকে শুভেচ্ছা পাকিস্তানের প্রথম মহিলা মহাকাশচারীর
আইনজীবীর ভূমিকায় বারবার দেশকে চমকে দিয়েছেন তিনি। ১৯৭৭ সালে ওয়ার্ল্ড পিস থ্রু ল- অ্যাওয়ার্ড পান। ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন তিনি। জরুরি অবস্থায় তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। সেসময় তিনি বার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। জরুরি অবস্থার সময়েই নির্দল প্রার্থী হিসেবে উল্লাসনগরে ভোট ময়দানে উত্তীর্ণ হন তিনি। সেই থেকে রাজনীতিতে জায়গা করে নেন জেঠমালানি।