‘প্রধানমন্ত্রী বিজেপির নন, দেশের’, এমনটা বলেনি হাইকোর্ট, গোটাটাই মিডিয়ার অপব্যাখ্যা!
ওয়েব ডেস্ক: হরিয়ানায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণের অপব্যাখ্যা করেছে সংবাদ মাধ্যম। এমনটাই জানাল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।
'গম্যামন' গুরমিত রাম রহিম সিংকে দোষী সাব্যস্ত করার পর রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হরিয়ানার একাংশ। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার শুনানি নিয়ে সংবাদ মাধ্যম খবর করেছিল, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত ২৬ অগাস্ট হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এস এস স্যারন বলেছিলেন,”দেশের ঐক্য ও আইনশৃঙ্খলা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। রাজনীতিবিদদের দেশকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ভারতের, বিজেপির নন। মুখ্যমন্ত্রীও বিজেপির নন, তিনি গোটা রাজ্যের। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলও দেশেরই। তিনি কোনও দলের লোক নন।’’ ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনেও হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হয়েছিল।
মঙ্গলবার জাট আন্দোলন নিয়ে মামলার শুনানি ছিল এস এস স্যারন ও অবনিশ ঝিঙ্গনের ডিভিশন বেঞ্চে। তখন আইনজীবী অনুপম গুপ্তা আগের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী যে দুর্বল, এটা তার ইঙ্গিত। প্রধানমন্ত্রী আইনের ঊর্ধ্বে নন। আদালতের চেয়েও কি প্রধানমন্ত্রী বড়?'' তখনই বিচারপতি স্যারন বলেন,”আমরা কাউকে ভয় পাই না। আদালতের পর্যবেক্ষণের ভুল ব্যাখ্যা করবেন না। সংবাদ মাধ্যমকে দায়িত্বশীল হতে হবে। নির্দেশে যা বলা আছে তা লিখুন। সাধারণ আলোচনাকে পর্যবেক্ষণ বলবেন না।” বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন,”দায়িত্বশীল আচরণ করেনি সংবাদমাধ্যম। আদালতের পর্যবেক্ষণের অপব্যাখা করার অধিকার কারও নেই।”
আরও পড়ুন, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে পঞ্চকুলা হিংসায় কড়া পদক্ষেপ করেনি হরিয়ানা