মোদীর পর দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন রামদেব!
মার্কিন মুলুকে গিয়ে প্রশংসার বন্যায় ভাসলেন যোগগুরু বাবা রামদেব। শুধু তাই নয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রামদেবের তুলনা টানল সেদেশের মিডিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মার্কিন মুলুকে গিয়ে প্রশংসার বন্যায় ভাসলেন যোগগুরু বাবা রামদেব। শুধু তাই নয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রামদেবের তুলনা টানল সেদেশের মিডিয়া।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে যোগ শেখাতে গিয়েছিলেন রামদেব। সেখানে রামদেব এতটাই জনপ্রিয় হয়েছেন যে মিডিয়াতেও তাঁকে নিয়ে শোরগোলের সীমা নেই। ভক্তদের উত্তেজনার সঙ্গে গলা মিলিয়েছে সেদেশের সংবাদপত্রগুলিও। সেখানেও প্রকাশিত হয়েছে যোগগুরুর ঢালাও প্রশাস্তি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো সংবাদপত্রেও ছাপা হয়েছে রামদেবের একাধিক খবর। শুধু তাই নয় রামদেবের রাজনীতিতে ভূমিকা নিয়েও নানা কথা বলা হয়েছে। এখানে লেখা হয়েছে, ‘ভারতে হিন্দুদের অধিকার অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে রামদেবের। ২০১৪ সালে তাঁর প্রচার নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতায় আনতে অনেকটাই সাহায্য করেছে। মোদীর জয়ের পর দেশের রাজনীতিতে বিশাল পরিবর্তন এসেছে।’
আরও পড়ুন-'প্রধানমন্ত্রী করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে'
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের শাসকদলের সঙ্গে রামদেবের ওঠাবসা বহুদিনের। প্রকাশ্যেই তিনি বিজেপির পক্ষে বিভিন্ন মন্তব্য করে থাকেন। কোনও কোনও মহলের মত, বিজেপির বহু নেতাকে প্রচারের আলোতে তুলে আনার পেছনে রামদেবের ভূমিকা রয়েছে।
মার্কিন সংবাদপত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছে রামদেবের। লেখা হয়েছে, ‘রামদেব হলেন, ভারতের ডোনাল্ড ট্রাম্প। একটা জল্পনা রয়েছে মোদীর পর তিনিও প্রধানমন্ত্রী দৌড়ে থাকতে পারেন।’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা টানতে গিয়ে লেখা হয়েছে, ট্রাম্পের মতো তিনিও বিশাল অর্থের ব্যবসা করেন। ট্রাম্পের মতো তিনিও টিভির খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। দেশের সব জায়গার মানুষ তাঁকে চেনে।
আরও পড়ুন-চিন, চিকাগোর পর এবার দিল্লিতে বাতিল মমতার অনুষ্ঠান
এখানেই থেমে থাকেনি সংবাদপত্রটি। লেখা হয়েছে, রামদেব এমন একজন গুরু যিনি ভক্তদের কাছ থেকে শুধুমাত্র প্রণামী না নিয়ে নিজে ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। খুব ছোট্ট জায়গা থেকে এক দশকের মধ্যে পতঞ্জলী আজ অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউসে পরিণত হয়েছে। গত আর্থিক বছরে পতঞ্জলীর ব্যবসা ১.৬ বিলিয়ন ডলার। টিভি কিংবা দেশের যে কোনও জজায়গায় বিজ্ঞাপনে রামদেবের একটা অন্তত পণ্য দেখা যাবেই। রামদেব যেকোনও প্রধানমন্ত্রীর থেকে কম ক্ষমতাশালী নন।