নিজস্ব প্রতিবেদন: নোট বাতিলের সমালোচনা করেছিলেন নোবেল জয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পের রূপরেখা তৈরিতেও ভূমিকা ছিল তাঁর। সেই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেল পাওয়ায় স্বভাবতাই চাপে বিজেপি নেতৃত্ব। আর সেই চাপ আলগা করতে গিয়ে আলটপকা মন্তব্য করে বসছেন নেতারা। বাদ যাননি খোদ রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। অভিজিৎবাবুর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কটাক্ষ করে বিতর্ক বাড়িয়ে তুলেছেন রাহুল সিনহা। এহেন অবস্থায় বিজেপি নেতাদের সংযত হওয়ার বার্তাই দিলেন লোকসভা ভোটে হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত। নোবেল জয়ী বঙ্গসন্তানকে নিয়ে মন্তব্য বাংলার মানুষ যে ভালো চোখে দেখছেন না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন।             


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাহুল সিনহার মন্তব্য কি বিজেপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে? জি ২৪ ঘণ্টার প্রশ্নে সরাসরি বিজেপির জাতীয় সম্পাদকের নাম নেননি রন্তিদেব সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ''কে, কী বলেছে? এনিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি হিসেবে নোবেল পেয়েছেন। তাঁর অর্থনৈতিক তত্ত্ব আমাদের কারও পছন্দ হতেও পারে, নাও হতে পারে। এটাও মানতে হবে হার্ভার্ড বা এমআইটি-তে খুঁটির জোরে সুযোগ পাওয়া যায় না। সেটুকুর জন্য তাঁকে সম্মান জানাতে হবে।'' '



ব্যক্তিগত জীবন টেনে আক্রমণ কাম্য নয় বলেও মনে করেন রন্তিদেববাবু। বরং তাঁর মতে, বিরোধিতা হতে হবে তাত্ত্বিকভাবে। ব্যক্তিগত জীবন টেনে আনা উচিত নয়। রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাব ফুটে উঠছে। শিক্ষিত সমাজ ভালোভাবে নিচ্ছেন না। বিরোধিতা করুন না, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করলে শিক্ষিত সমাজ মেনে নেবে না। 


অভিজিৎবাবু অর্থনৈতিক তত্ত্বের তিনিও বিরোধী তবে সেটা যুক্তি দিয়ে মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে বলে মনে করেন রন্তিদেব সেনগুপ্ত। এর পাশাপাশি এমনতর বিতর্কে বিজেপি নেতাদের জড়ানো উচিত নয় বলেও তাঁর অভিমত। আরএসএস ঘনিষ্ঠ রন্তিদেব সেনগুপ্তর বক্তব্য, বিজেপির তো এটা লক্ষ্য নয়। ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলই বৃহত্তর লক্ষ্য। এটা সবাই বুঝলে ভালো হয়।      


অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নোবেল পেয়েছেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী এস্থার ডাফলো। সেই প্রসঙ্গ তুলে শুক্রবার রাহুল সিনহা কটাক্ষ করেন, দ্বিতীয় বিয়ে বিদেশিকে করলে দেখছি নোবেল পাওয়া যাচ্ছে। অমর্ত্য সেনকেও দেখলাম। একইসঙ্গে বামপন্থী অর্থনীতি এদেশে অচল বলে দাবি করেন রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়,''মানুষ বামপন্থীকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিদেশে কোথাও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্ব কাজে লাগতে পারে। তবে ভারতে দারিদ্র দূর করতে উনি কোনও কাজে আসবেন না।'' 


লোকসভা ভোটে শিরোনামে এসেছিল কংগ্রেসের ন্যূনতম আয় যোজনা বা ন্যায়ের প্রতিশ্রুতি। দারিদ্র সীমার নীচে থাকা মানুষকে মাসে ৬ হাজার থাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল রাহুল গান্ধী।  ওই প্রকল্পের রূপরেখা তৈরিতে অবদান ছিল নোবেলজয়ী বাঙালির। সেই প্রসঙ্গ তুলে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল দাবি করেছেন, উনি বামপন্থী মানসিকতার।ন্যায় প্রকল্পের গুণগান গেয়েছিলেন। ভারতের মানুষ ওনার মতকে খারিজ করে দিয়েছে।  


আরও পড়ুন- এসএসকেএমে কুকুরের ডায়ালিসিস, তৃণমূল নেতা নির্মল মাজিকে সতর্ক করল এমসিআই