নিজস্ব প্রতিবেদন: বিবস্ত্র অবস্থায় প্রকাশ্যে রাস্তা দিয়ে ছুটে চলেছে এক নাবালিকা। ভয়ার্ত চোখ-মুখ। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে ক্ষীণ স্বর ভেসে আসছে, বাঁচাও আমাকে। প্রাণ বাঁচানোর আর্জি নিয়ে এভাবে প্রায় আধা কিলোমিটার ছুটে চলে ওই নাবালিকা। শেষমেশ এক স্থানীয় দোকানির তত্পরতায়  উদ্ধার করা হয় তাকে। কিন্তু এভাবে ছুটছিল কেন সে? কয়েক ঘণ্টা আগে ঘটে যাওয়া সেই বিভীষিকা ঘটনার কথা জানায় রাজস্থানের ভিলওয়ারার ওই যুবতীর ভাইঝি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সোমবার সন্ধে ভিলওয়ারার একটি মেলায় গিয়েছিল ওই যুবতী, তার ভাইঝি এবং এক বন্ধু। বাড়ি ফেরার সময় এক মন্দিরের কাছে তাদের পথ আটকায় ৩ দুষ্কৃতী। ওই যুবতীকে সেখান থেকে তুলে পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে যায় তারা। যে কোনও উপায়ে পালিয়ে বাঁচে যুবতীর ভাইঝি। এরপর কাছাকাছি এক বাজারে গিয়ে সবাইকে ওই ঘটনার কথা জানায় সে। ছুটে আসে স্থানীয়রা। কিন্তু এর মধ্যে ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সে-ও কোনওভাবে পালিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় ছুটতে থাকে। প্রায় আধা কিলোমিটার দিকভ্রান্ত অবস্থায় তাকে ছুটতে দেখা যায়। শেষে নির্যাতিতার সম্ভ্রম বাঁচাতে কাপড় দান করেন এক ব্যক্তি।


আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: গণেশ পুজোর বিসর্জনে অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার রাস্তা করতে দুই পাশে সরে গেল ভক্তরা


সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই ৩ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ভিলওয়ারার পুলিস অফিসার হরেন্দ্র মাহবার  জানান, একটি মন্দিরের কাছে ওই যুবতী ও তার দুই বন্ধুর পথ আটকায় দুষ্কৃতীরা। তারা মদ্যপ ছিল বলে দাবি পুলিসের। ওই তিন জনকে ধাওয়া করলে দুষ্কৃতীদের হাতের নাগালে চলে আসে ওই যুবতী। পরিত্যক্ত জায়গায় তাকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে তফসিলিদের উপর অত্যাচার এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিস। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল গিয়ে ভাঙা চুড়ি, মদের বোতল, রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিসেরই একটি বিশেষ দল। এই মামলা দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে অশোক গেহলটের প্রশাসন।