জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ শ্রমিককে উদ্ধার করতে এখন টানেলের উপর থেকে ভার্টিক্যালি ড্রিল করছে উদ্ধারকারী দল। শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য মোট ১১০ মিটার খনন করা প্রয়োজন। রবিবারই সেই খনন শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিনই ২০ মিটার খননের কাজ শেষ হয়। সোমবার এখনওপর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে আরও ১৭ মিটার। বাকী পথ খুঁড়তে আরও দু'দিন লাগতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-তিন হাতিকে 'হত্যার' দায়ে আস্ত মালগাড়ি 'বাজেয়াপ্ত' করল বন দফতর!


এদিকে, টানালে খোঁড়ার মার্কিন অগার মেশিনের ভাঙা অংশ বের করা হয়েছে। স্ক্ুর মতো করে ওই মেশিনটি ইতিমধ্যেই ৪৬ মিটার ড্রিল করে ফেলেছিল। ড্রিলের সাঙ্গে সঙ্গেই খালি সুড়ঙ্গে পাইপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে মনে করা হচ্ছিল এভাবেই আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যাবে পাইপ। এরপরই পাথরের মধ্য়ে মেশিনের ব্লেডে ভেঙে মেশিন বসে য়ায়। ফলে থমকে যায় উদ্ধার কাজ। বাকী থেকে যায় ১২ মিটারের কাজ। এরকম এক পরিস্থিতিতে হায়দরাবাদ থেকে উড়িয়ে আনা হয়ে বিশেষ ধরেনের গ্যাস কাটার। আজ সকালেই সেই কাটার দিয়েই কেটে বের করা হয়েছে অগার মেশিনের ব্লেড।


এখন তিনভাবে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা চলেছে। একটি হল অগার মেশিন যেখানে বিকল হয়ে গিয়েছে সেখান থেকে ম্যানুয়্যাল ডিলিং শুরু করা। এর জন্য দিল্লি ও ঝাঁসি থেকে আনা হয়েছে ১১ জন দক্ষ শ্রমিককে। তারা ওই পাইপের মধ্যে ঢুকে ধ্বংস্তূপ খুঁড়ে এগোনোর চেষ্টা করবে। আবর্জনা বের করা হবে একটি চাকা লাগানো ট্রলির সাহায্যে। অক্সিজেনের জন্য ব্লোয়ার ব্যবহার করবেন তাঁরা। এই ধরনের শ্রমিকদের বলা হয় র‌্যাট মাইনার্স। কারণ ইঁদুরের মতো গর্ত করে তারা এগোতে থাকেন। অন্যদিকে সুড়ঙ্গের উপর থেকে শুরু হয়েছে উলম্বভাবে গর্ত খোঁড়ার কাজ। তৃতীয় যে উপায়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চষ্টা চলেছে তা হলে সুড়ঙ্গের অন্য প্রান্ত থেকে সুড়ঙ্গ খোঁড়া। এর জন্য খুঁড়তে হবে ৪৮০ মিটার পথ। এর জন্য সময় লেগে যেতে পারে ১৫ দিন। এখনওপর্য়ন্ত মোট ১০ মিটার সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে।


সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকরা যাতে মানসিক রোগের শিকার না হয়ে পড়েন তার জন্য তাদের সঙ্গে সকালে ও বিকালে কথা বলা হচ্ছে। কথা বলিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গেও। সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে একটি ল্য়ান্ডলাইন শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিএসএনএল। ভেতরে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থাও করার চেষ্টা হচ্ছে।


অন্যদিকে, উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে আবহাওয়া। হাওয়া অফিসের তরফে বলা হয়েছে সোমবার বিকেলে টানেল সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যেই এলাকায় বেশ ঠান্ডা। তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৪ ডিগ্রিতে। বৃষ্টি হলে সেই ঠান্ডা লাফিয়ে বাড়বে। ফলে বৃষ্টি ও ঠান্ডা উদ্ধার বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।  ইতিমধ্যেই এলাকায় মেঘলা করে রয়েছে। তবে উদ্ধারকারী দল NHIDCL এর এমডি মাহুমদ আহমেদ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দল যে কোনও পরিস্থিতিতে কাজ করতে সক্ষম। ফলে চিন্তার কোনও কারণ নেই।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)