ওয়েব ডেস্ক : রথের রশিতে টান। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মাসির বাড়ি যাওয়ার দিন। মাতোয়ারা পুণ্যভূমি পুরী। লাখো ভক্তসমাগম। নিরাপত্তার কড়াকড়ি। রথ উপলক্ষে সরগরম শ্রীক্ষেত্র। বহুকাল ধরে চলে আসা এই উত্‍সব ঘিরে উত্‍সাহে আজও উত্সাহে কোনও ভাঁটা নেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুধু পুরী নয়। কলকাতাতেও রথ ঘিরে উত্‍সবের উন্মাদনা তুঙ্গে। কলকাতার ইসকনের রথযাত্রায় প্রতিবারই ভিড় উপচে পড়ে ভক্তদের। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। রথযাত্রার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো শ্রীরামপুরের মাহেশের রথযাত্রা। এখানকার রথটি প্রায় ১২৯ বছর পুরনো। ঐতিহ্যমণ্ডিত এই রথযাত্রা ঘিরে বহু মানুষের ভিড় হয়। নদীয়ার মায়াপুরেও ইসকনের রথ ঘিরে প্রতিবছরের মতো এবারও উন্মাদনা তুঙ্গে। দেশ-বিদেশ থেকে এখানে ভিড় করেন বহু ভক্ত।


এর বাইরে, হুগলির গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রাও ধারে-ভারে কম যায় না। এখানে রথের বিশেষ আকর্ষণ, ভাণ্ডার লুঠ। নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির রথযাত্রাও উল্লেখযোগ্য। গৃহদেবতা বিজয় রাধাবল্লভ জিউর রথযাত্রা এখানে আজও সাড়ম্বরে পালিত হয়। বসে রথের মেলা। প্রথা অনুযায়ী, এই রথে জগন্নাথ নন, ওঠেন রাধাবল্লভ ও বলরাম।


জগন্নাথদেবের রথযাত্রায় মেতে উঠেছে আহমেদাবাদও। এবছর এখানে ১৩৯ তম বর্ষে পা দিল এই উত্‍সব। প্রায় পনের কিলোমিটার পথ পরিক্রমার পর, চারশো বছরের পুরনো জগন্নাথ মন্দিরেই ফিরে আসেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। সময় লাগে প্রায় এগারো ঘণ্টা। এই উত্‍সবে যোগ দিতে ঢল নেমেছে ভক্তদের। যাত্রাপথেই চলে নানা সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠানও।