নিজস্ব প্রতিবেদন: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদে শক্তিকান্ত দাসের নিয়োগে রীতিমতো ‘অবাক’ বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এনিয়ে ফের শক্তিকান্তকে নিশানা করলেন স্বামী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার হায়দরাবাদে ইন্ডিয়ান স্কুল অব বিজনেস-এ এক অনুষ্ঠানে স্বামী বলেন, "রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নতুন গভর্নর সাংঘাতিক দুর্নীতিপরায়ণ। একসময় অর্থমন্ত্রক থেকে ওকে সরতে বাধ্য করেছিলাম। আবার বলছি, শক্তিকান্ত দাস দুর্নীতিগ্রস্থ। দেশেশুনে অবাক হচ্ছি যে যাকে আমি অর্থমন্ত্রক থেকে দুর্নীতির জন্য সরালাম সে-ই কি না এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর!"


আরও পড়ুন-নাসিরুদ্দিনের মন্তব্যে ইমরান বললেন, এজন্যই তো পাকিস্তান গড়েছিলেন জিন্নাহ


শক্তিকান্ত দাস কী ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত তা অবশ্য খোলসা করেননি সুব্রহ্মণ্যম। এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, "তাহলে কাকে আপনি আরবিআই-এর গভর্নর হওয়ার যোগ্য বলে মনে করেন?" এর উত্তরে সুব্রহ্মণ্যম বলেন, "গভর্নর হতে পারেন, আইআইএম ব্যাঙ্গালোরের অধ্যাপক আর বৈদ্যনাথন। তিনি আবার সংঘ পরিবারের পুরনো সদস্যও। উনি আমাদের লোক। তবে গুরুস্বামীকে আরবিআইয়ের বোর্ড আনা বড়সড় ভুল।"


শক্তিকান্ত দাস সম্পর্কে বিজেপি সাংসদ এদিন সাংবাদিকদের বলেন, "শক্তিকান্ত দাসকে অর্থ মন্ত্রক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ, তিনি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতির মামলায় হস্তক্ষেপ করছিলেন। উনি আসলে চিদম্বরমের চ্যালা। উনি যখন চেন্নাইয়ে ছিলেন তখন একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।"


আরও পড়ুন-সেনা পাথর ছোড়া ও গাল দেওয়া যায়, আর কত স্বাধীনতা চাই? নাসিরুদ্দিনকে প্রশ্ন অনুপমের


২০১৯ লোকসভা নির্বাচন সম্পর্কেও এদিন মন্তব্য করেন সুব্রহ্মণ্যম। তিনি বলেন, "লোকসভা নির্বাচনে প্রতিষ্ঠান বিরোধী কোনও হাওয়াই কাজ করবে না। ফের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।" অন্যদিকে, রাহুল গান্ধী সম্পর্কে বলেন, "উনি আসলে ব্রিটিশ নাগরিক। তাই এদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে উনি পারেন না।"