নিজস্ব প্রতিবেদন: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উর্জিত প্যাটেল। আরবিআইয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গভর্নর এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে এই পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, উর্জিতের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত সোমবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে। আরবিআইয়ের বোর্ড, অধিকর্তা এবং কর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন উর্জিত প্যাটেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



উল্লেখ্য, উর্জিত প্যাটেলের পদত্যাগ নিয়ে বেশি কিছু দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কগুলির উপর শীর্ষ ব্যাঙ্কের কড়া ঋণনীতির জেরে কেন্দ্রের সঙ্গে প্রকাশ্যে মনমালিন্যে জড়িয়ে পড়ে উর্জিত প্যাটেলের সংস্থা। এক মঞ্চে শীর্ষ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য্য অভিযোগ করেন, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে যে ভাবে কেন্দ্র নাক গলাচ্ছে, এর জেরে দেশে আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। এই প্রসঙ্গে তিনি আর্জেন্টিনা সরকারের পদক্ষেপকে উদাহরণ হিসাবে টানেন। বিরলের এই মন্তব্যের পরই কেন্দ্র এবং আরবিআইয়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে।


আরও পড়ুন- বিজয় মালিয়াকে ভারতে ফেরাতে সম্মতি দিল ব্রিটেনের আদালত


লোকসভার নির্বাচনের মুখে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য ক্রমাগত চাপ তৈরি করে কেন্দ্র। অনাদায়ী ঋণে জর্জরিত ব্যাঙ্কগুলির ঋণনীতি বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে শিথিল করা কথা বলা হয়। তবে, শীর্ষ ব্যাঙ্ক স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ব্যাঙ্কগুলি যতক্ষণ না নিজেদের স্বাস্থ্য ফেরাচ্ছে, আরোপিত ঋণনীতির উপর হস্তক্ষেপ করবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এছাড়া নগদহীনতায় ভুগতে থাকা ব্যাঙ্ক নয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলিকে অর্থ দেওয়ার ব্যাপারেও কেন্দ্রের দাবি নাকচ করেন উর্জিত প্যাটেল।


উর্জিত প্যাটেলের ইস্তফা নিয়ে সাংসদ সুব্রহ্মণ্যন স্বামী বলেন, তার এই ইস্তফা অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নতুন সরকার আসা পর্যন্ত তাঁর অপেক্ষা করা উচিত ছিল। এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর উচিত  দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তাঁর সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা।