নিজস্ব প্রতিবেদন: সুদের হার ফের বাড়াল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ত্রৈমাসিক ঋণনীতি পর্যালোচনায় রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬.৫ শতাংশ। বেড়েছে রিভার্স রেপো রেটও। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.২৫ শতাংশ।  দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির চাপ ও আর্থিক বৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার জন্য সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত জুনেও রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল আরবিআই।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরবিআইয়ের ৬ সদস্যের আর্থিক নীতি কমিটির বৈঠকে রেপো ও রিভার্স রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পক্ষে ছিলেন ৫ সদস্য। মূল্যবৃদ্ধি ৫ শতাংশে ঠেকেছে, ঊর্ধমুখী পেট্রোল-ডিজেলের দাম- এই পরিস্থিতিতে সুদের হার বাড়ানোর পথে হাঁটল আরবিআই গভর্নর উর্জিত পটেলের নেতৃত্বে আর্থিক নীতি কমিটি। রেপো রেট বাড়ায় ব্যাঙ্কগুলিকে আগের চেয়ে বেশি সুদে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ধার নিতে হবে। সেই অতিরিক্ত বোঝা চাপবে গ্রাহকদের কাঁধে। ফলে গৃহঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ ও মোটরযান ঋণে সুদের হার বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।    


এপ্রিল -সেপ্টেম্বরে আর্থিক বৃদ্ধি ৭.৫-৭.৬ শতাংশে থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস আরবিআইয়ের। চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি থাকতে পারে ৭.৪ শতাংশে। 


২০১৩ সালের পর প্রথমবার পরপর দুটি ত্রৈমাসিক ঋণনীতি পর্যালোচনায় সুদের হার বাড়াল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ৪ বছর পর গত জুনে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬.২৫ শতাংশ করেছিল আরবিআই। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। বিনিয়োগ আসার কারণে দেশীয় বাজার তেজি থাকবে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে উত্পাদন ক্ষেত্র দারুণ ফল করতে পারে বলেও আশাবাদী আরবিআই। 


আরবিআই বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। বিনিয়োগ আসার কারণে দেশীয় বাজার তেজি থাকবে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে উত্পাদন ক্ষেত্র দারুণ ফল করতে পারে বলেও আশাবাদী আরবিআই। 


জুলাই-সেপ্টেম্বরে মূল্যবৃদ্ধি ৪.২ শতাংশে থাকতে পারে বলে অনুমান করেছিল আরবিআই। তবে সেই পূর্বাভাস ছাপিয়ে গিয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। জুনে মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছেছিল ৫ শতাংশে। মে মাসে তা ছিল ৪.৮৭%। এখনই ঊর্ধমুখী মূল্যবৃদ্ধি থেকে যে স্বস্তি মিলছে না, তা স্পষ্ট করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাদের পূর্বাভাস, ২০১৯-১৯ সালে শেষ ৬ মাসে মূল্যবৃদ্ধি থাকতে পারে ৪.৮%। ২০১৯-২০ সালে প্রথম ত্রৈমাসিকে মূল্যবৃদ্ধি থাকতে পারে ৫ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৪.৪ শতাংশ। 
  
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলার নিরিখে টাকার অবমূল্যায়নের জেরে চড়ছে মূল্যবৃদ্ধির হার। বর্ষায় কেমন বৃষ্টি হয়, তার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে। একইসঙ্গে সহায়ক মূল্যের আওতার বাইরে কৃষিপণ্যের দাম বেঁধে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে সরকারকে। 


আরও পড়ুন- অমিতের সভা নিয়ে বিজেপির অভিযোগ ওড়াল পুলিস, হুঙ্কার দলের সর্বভারতীয় সভাপতির